ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

হায়দ্রাবাদ নয়, কলকাতায় হতে পারে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
হায়দ্রাবাদ নয়, কলকাতায় হতে পারে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে লোধা কমিশনের অভিযোগের ফলাফল স্বরুপ আদালত বহিষ্কার করেছে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিকে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থাতেও। এবার দেশটির অভ্যন্তরীন সমস্যায় সংকটে ভারত-বাংলাদেশ একমাত্র টেস্টও।

বহুল প্রতীক্ষিত টেস্টটি হায়দ্রাবাদে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সূচি রয়েছে। তবে, হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কা থাকছে।

কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকার বিষয়টি।

কিন্তু মূল বিষয়টি কিছুটা অন্যরকম। বিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন বর্তমানে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান। বেঙ্গালুরুতে তার নেতৃত্বে লোধা থেকে বিতাড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিন বোর্ডকে অসহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়।

হায়দ্রাবাদ সংস্থায় এখন দু’টি ক্রিকেট গোষ্ঠী। দুই সাবেক ক্রিকেটার আরশাদ আইয়ুব ও শিবলাল যাদব। শনিবার বেঙ্গালুরুতে শ্রীনির বৈঠকে তারা দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন। এ দু’জন অর্থ লোপাটের দায়ে অভিযুক্ত। লোধা কমিটির সুপারিশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে, তবু সরেননি।  

৩০টি অনুমোদিত সংস্থার মধ্যে ২৪টি ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিরা শনিবার বেঙ্গালুরুতে শ্রীনির বৈঠকে হাজির ছিলেন। লোধা কমিশনের পক্ষে থাকা রাজ্য সংস্থা বলতে এখন সিএবি (কলকাতা) এবং বিদর্ভ। তৃতীয় কেউ থাকলে সেটা পাঞ্জাব এবং বিচারপতি মুকুল মুদগল পরিচালিত দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা।  

ইতিমধ্যে অবশ্য ভারতীয় মিডিয়া পাড়ায় কথা উঠেছে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচ যদি হায়দ্রাবাদ আয়োজনা না করে তাহলে তা অনায়াসে কলকাতার ইডেন গার্ডেন করা যেতে পারে। সিএবির প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি লোধা কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার পক্ষে। শনিবার বেঙ্গালুরুর বৈঠকে সৌরভ বা সচিব অভিষেক ডালমিয়া কেউ যাননি। ইডেনে ম্যাচ করার প্রস্তাব পেলে তারা রাজি হবেন বলেই সবার বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।