ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

অজিদের জায়গায় আইরিশরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
অজিদের জায়গায় আইরিশরা

ঢাকা: বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে গেল বছরের ২৮ সেপ্টেস্বর সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের। কিন্তু ‘বাংলাদেশে নিরপাত্তা ঝুঁকি আছে’ এমন অযুহাত দেখিয়ে তারা সেসময় সফর বাতিল করে।

এবার একই ইস্যুতে আসছে ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে দেশটির যুবা ক্রিকেটাররা।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী ছিল নেপাল, ভারত  ও নিউজিল্যান্ড।   বিশ্বকাপ বর্জন করায় অস্ট্রেলিয়ার জায়গায় পরিবর্তিত দল হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইসিসি।  

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানান, ‘গেল কয়েকমাস ধরেই অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পরিতাপের বিষয় হলো, অস্ট্রেলিয়ান সরকার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানিয়েছে যে, গেল বছরের অক্টোবরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উপরে দেশটিতে নিরাপত্তা হুমকি যেমন ছিল, এখনও তেমনটিই আছে। বরং ক্ষেত্র বিশেষে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এমন অবস্থায় আমাদের ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বকাপ বর্জনের কোন বিকল্প ছিলনা। ’

তবে, নিরাপত্তার কারণে দেরিতে বিশ্বকাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় আইসিসি ও বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও জেমস সাদারল্যান্ড।

নিরাপত্তা ইস্যুতে বিশ্বকাপের মতো আসরে অস্ট্রেলিয়া অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি সুজন। তিনি জানান, ‘এটা অবশ্যই হতাশাজনক যে, অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে না। আমরা দেশটিকে সর্বোচ্চ নিরাপাত্তার আশ্বাস দিয়েছি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ টুর্নামেন্টের সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের দিক থেকে যতটুকু করার করেছি। ’

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান ‍অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ না খেলার এমন সিদ্ধান্তের পর দেশটির ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন অবনতি হবে কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে, বিসিবি সিইও সুজন জানান, বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। এটি একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবেনা। তবে, আমরা মনে করি যে প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্ক আছে তা ভবিষ্যতেও অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৪ ঘণ্টা, ০৬ জানুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।