ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ইমন-দীপুর সেঞ্চুরিতে জয় প্রাইম ব্যাংকের, জিতেছে আবাহনীও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
ইমন-দীপুর সেঞ্চুরিতে জয় প্রাইম ব্যাংকের, জিতেছে আবাহনীও

তামিম ইকবাল ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকায় পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করলেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। তারা দুজনই পেলেন সেঞ্চুরি।

বিশাল রান সংগ্রহের পর সহজ জয় পেয়েছে তাদের দল। এদিকে প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর দ্বিতীয়টিতেও আলো ছড়িয়েছেন আবাহনীর সাব্বির হোসেন, তার দলও পেয়েছে বড় জয়।  

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১৬৫ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গাবতলীতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। এতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন দেরিতে মাঠে পৌঁছায়, ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় এক ওভার। দেরিতে পৌঁছান তামিমও।  

তবে তাকে ছাড়াই দারুণ শুরু পায় প্রাইম ব্যাংক। ২৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পথে পারভেজ হোসেন ইমন ও শাহাদাৎ হোসেন দীপু পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ২০১৯ সালে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে সৌম্য সরকার ও জহুরুল ইসলামের ৩১২ ও ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস ২৯২ রানের জুটি গড়েন। এরপরই তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটিটি আজ গড়লেন দীপু ও ইমন।  

১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১১১ বলে ১১৯ রান করেন দীপু, ৯ চার ৮ ছক্কায় ১২৯ বলে ১৫১ রান আসে ইমনের ব্যাট থেকে। তাদের দুজনের উইকেটই পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। তিনে নেমে ১৫ বলে ১৬ রান করেন তামিম ইকবাল। ১৭ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শেখ মাহেদী।  

৪ উইকেটে ৩৮০ রানে থামে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। এক ওভার কম না হলে হয়তো তারা লিস্ট এ তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও গড়তে পারতো। ২০১৮ সালে বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৯৩ করেছিল আবাহনী লিমিটেড, সেটিই এখনও সর্বোচ্চ।  

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানের বেশি করতে পারেনি ব্রাদার্স। দলটির পক্ষে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন আব্দুল মজিদ। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু সানজামুল ইসলাম।  

এদিকে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে খান সাহেব ওসমানি স্টেডিয়ামে গাজী টায়ার্সকে ১৪৬ রানে হারিয়েছে আবাহনী। শুরুতে ব্যাট করে ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৩ রান করে। পরে বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে গাজী টায়ার্সের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১০ রান, ৯ উইকেটে ‌১৬৩ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।  

আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন আবাহনীর সাব্বির হোসেন। এদিন ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ বলে ৯৮ রান করেন তিনি। এছাড়া ১০৫ বলে মাহমুদুল হাসান জয় ৭৩ রান করেন। শেষদিকে নেমে জাকের আলী অনিক ৩ চার ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৬ রান করেন।  

এই রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দলটির পক্ষে ৭৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন গাজী তাহজিবুল। আবাহনীর হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোসাদ্দেক হোসেন।  

বাংলাদেশ সময় : ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।