ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আদালত

ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পেছাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৯
ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পেছাল

টাঙ্গাইল: অসুস্থতার কারণে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ নিয়ে আমানুরের অসুস্থতার কারণে তিনবার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল।

রোববার (৯ জুন) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোববার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষী টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফের হাজিরা দেওয়া হয়।

কিন্তু অসুস্থতার কারণে এ মামলার আসামি কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদ কবির ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) সাক্ষীর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বাংলানিউজকে বলেন, এরআগে গত ৪ এপ্রিল এবং ২ মে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও আমানুরকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সেসময়ও অসুস্থতার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি বলে কারাগার কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছিলেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ফারুক হত্যা মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় জামিন স্থগিত থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে এ হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।  

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।