ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আদালত

হত্যা মামলায় ২০ চরমপন্থির যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
হত্যা মামলায় ২০ চরমপন্থির যাবজ্জীবন

মাদারীপুর: মাদারীপুরের রাজৈর থানায় পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এসআই আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুরকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সর্বহারা ও চরমপন্থি দলের ২০ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয় জনকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার ৩২ আসামির মধ্যে চারজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং দু’জন বিচার চলাকালে মারা যান। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ছয় জনকে খালাস ও ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন- দাদন ফকির, আমীর হোসেন শেখ, জসিম শেখ, মাছিম শেখ, মজনু মাতুব্বর, ফয়েজ শেখ, উজ্জ্বল হাওলাদার, জাফর মাতুব্বর, কুব্বাস মাতুব্বর, হালিম আকন, মিরাজ শিকদার, এমে মোল্লা ও সুমন বাঘা।

রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি- মোশাররফ শেখ, আশরাফ শরিফ, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, দবির মোল্লা, সৈকত মোল্লা ও দীপু বিশ্বাসকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুর মোটরসাইকেল যোগে শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশ পরিচয় পেয়ে আসামিরা তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এর পর মোটরসাইকেলসহ তাদের শ্রীনদীর দিকে নিয়ে যায় তারা।

ট্রলারে উঠিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেলটি নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা। এরপর প্রথমে কামরুলকে গলা কেটে হত্যার পর তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্ন মাথা হাসনাইনের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।

কামরুলের মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে হাসনাইনকে একইভাবে হত্যার পর তার মরদেহও টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা।

২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম মোল্লা ৩২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।