ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামাই দিয়ে একের পর এক মামলা! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
জামাই দিয়ে একের পর এক মামলা!  ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘরে ভূমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে মো. ফারুক মিয়া নামে এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তিকে মামলা দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ভূমি দখলে নিতে মরিয়া চাচা নান্নু মাস্টার তার পুলিশ জামাইয়ের প্রভাব খাঁটিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 

সম্প্রতি এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. ফারুক মিয়া। সে ভাদুঘর এলাকার মৃত উলফত আলীর ছেলে।  

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফারুক মিয়ার বাবা উলফত আলী মারা যাওয়ার পর তার চাচা নান্নু মিয়া মাস্টার, মজনু মিয়া ও চাচাতো ভাই মো. সেলিম মিয়া উলফত মিয়ার মালিকানাধীন ভাদুঘর মৌজার ৩৭১ দাগের ৫৪ শতক নাল ভূমি জোর করে দখল করে আত্মসাতের চেষ্টা করেন। সে সময় ফারুক মিয়া তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। এরই সুযোগ নিয়ে চাচা নান্নু মিয়া তার মেয়ের জামাই পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আক্তারুজ্জামানের সহযোগিতায় মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে বাদী করে আদালতে দু’টি মামলা করেন। পরে শুনানিতে দু’টি মামলাই খারিজ হয়। পরবর্তীকালে অন্য জামাই মোস্তাফিজুর রহমান রানা বাদী হয়ে আদালতে আরো দু’টি মামলা করলে সেই দু’টি মামলাও উভয়পক্ষের শুনানি শেষে খারিজ হয়। তার পরও খান্ত হননি তারা।  

ফারুককে হয়রানি করতে এসআই আক্তারুজ্জামন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান করেন। তবে কোনো ঘটনা উল্লেখ করতে না পারায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) মামলা থেকে খালাস পান। এরপরও জামাই আক্তারুজ্জামান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ থাকাকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কাটিয়াদী থানায় আসামিভুক্ত ও গ্রেফতার করে। এরপর দীর্ঘদিন তিনি কারাগারে থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি প্রতি ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।  

এদিকে, নান্নুর বিরুদ্ধে ফারুকের দায়ের করা দেওয়ানী মামলা তুলে নিতে নান্নু, মজনু মিয়া, সেলিম মিয়া, জামাই আক্তারুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান রানা, সোনিয়া আক্তার, ফারুক মিয়াকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে হেফাজতের মামলাসহ সন্ত্রাসী হিসেবে জেলে পাঠাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।  

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এসএই আক্তারুজ্জামান পুলিশ হওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন। বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করে আসছেন। বয়সের ভাড়ে এত হয়রানি আর সহ্য করতে পারছি না। শুধু জেলা নয় কিশোরগঞ্জ জেলাতেও আমার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি এ হয়রানি থেকে মুক্তি চাই এবং তাদের বিচার চাই।  

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।