ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

সাগরে ড্রেজার ডুবিতে আট শ্রমিক নিখোঁজ, উদ্ধার অভিযান স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
সাগরে ড্রেজার ডুবিতে আট শ্রমিক নিখোঁজ, উদ্ধার অভিযান স্থগিত

ফেনী: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ করেছে ডুবুরি দল।  

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ঊদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ আট শ্রমিকের কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে যথারীতি উদ্ধার কাজ ফের শুরু করা হবে। তবে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা দুর্ঘটনা কবলিত ড্রেজার ট্রাকবোট দিয়ে কূলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানান মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান।

নিখোঁজ শ্রমিক ইমাম মোল্লা ও শাহিন মোল্লার ভাই এনায়েত মোল্লা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে আমার দুই ভাইসহ আমাদের একই এলাকার আট জন শ্রমিক ড্রেজার ডুবিতে নিখোঁজ হয়েছেন। সকালে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এলেও এখনও উদ্ধার তৎপরতা চোখে পড়েনি।  

তিনি বলেন, আমরা নিখোঁজ আটজনের দেহ দেখতে চাই। জীবিত না হলেও লাশ যেন পাই।

এদিকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য এভাবেই আকুল আবেদন জানান স্বজনরা।  

নিখোঁজ  শ্রমিকদের বাড়ি পটুয়াখালী:

ঘটনাস্থলে আসা কয়েকজন স্বজন জানান, নিখোঁজ সব শ্রমিকের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদরের চরজোন ইউনিয়নে। তারা বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের বেপজা ও একটি কোম্পানির বালু সরবরাহ করতে সাগরে ড্রেজারে কাজ করতেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর এখনও সন্ধান মেলেনি শ্রমকিদের। তারা সবাই সাগরের মধ্যে রাখা বালু উত্তোলনের ড্রেজারে অবস্থান করছিলেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ার পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ায় ওই স্থানে রাখা বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন সৈকত-২ পানিতে ভেসে গিয়ে ডুবে যায়। ড্রেজারে অবস্থানরত শ্রমিক শাহীন মোল্লা (৩৮), ড্রেজার চালক ইমাম মোল্লা (৩২), মাহমুদ মোল্লা (৩২), আলামিন (২১), তারেক, আবুল বশর (৪৫) ও অজ্ঞাতপরিচয় দুইজন নিখোঁজ হন।  

বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ড্রেজারে থাকা শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, ড্রেজারে আমিসহ নয়জন শ্রমিক ছিলাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা শুনে সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে আমি ড্রেজার থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে চলে আসি। বাকিরা ড্রেজারেই অবস্থান করছিলেন।  

ড্রেজার ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থলে আরও ছয়টি ড্রেজার রাখা ছিল। সতর্কতা সংকেত পেয়ে কয়েকটি ড্রেজারের শ্রমিক নিরাপদ স্থানে চলে গেলেও দুর্ঘটনা কবলিত ড্রেজারের আট শ্রমিক নিরাপদ আশ্রয়ে যাননি।

সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজত একটি ড্রেজারের আট শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক অবস্থানে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও তারা কেন নিরাপদ আশ্রয়ে গেলো না তা বুঝতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এসএইচডি/আরআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।