ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল ৩ দফা বন্যার পর আবারও প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: তিন দফা বন্যার পর ফের প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাস্তা-ঘাট, ধানী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

গত কয়েকদিন থেকে টানা বর্ষণে এবং পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে।
 
বিশেষ করে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট সড়কপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
 
টানা বর্ষণ হওয়ায় ঢলের পানি বেড়ে গোয়াইনঘাটের বেশিরভাগ অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বানের পানিতে বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে। এই কারণে সিলেটের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
 
অসময়ের বন্যার কারণে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই ও রাতারগুল এলাকায় পর্যটক আগমন নিরুৎসাহিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
 
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জাফলং এলাকার ডাউকি এবং সারি নদীর পানি বাড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও ও পশ্চিম জাফলং ইউনিনের শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
 
উপজেলা সদরের সঙ্গে জেলা শহরে যাতায়াতের দুইটি সড়ক সারি-গোয়াইনঘাট ও সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
 
পানি বাড়তে থাকায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
 
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে জাফলংয়ের পিয়াইন নদী ও সারি নদী দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু হয়েছে। এতে উপজেলাগুলোর কৃষকের সহস্রাধিক হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব বাংলানিউজকে বলেন, অবিরাম বৃষ্টির ও উজানের ঢলে নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহমান রয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পুরো উপজেলার অবশিষ্ট অংশ বন্যাকবলিত হয়ে পড়বে। পানি উঠে সড়কের যেসব স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে সেখানে নৌকাযোগে মানুষ যাতায়াত করছেন। দুর্গত এলাকার লোকজনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, বন্যায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের সহায়তায় ২শ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ২শ প্যাকেট গো-খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যায় উপজেলার তিন হাজার হেক্টর আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারার পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়চ্ছে। সেসঙ্গে পাহাড়ি নদী সারি, লোভাছড়ার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।