ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে অ্যাম্বাসেডর নাশিদের কাজ শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে অ্যাম্বাসেডর নাশিদের কাজ শুরু

ঢাকা: বাংলাদেশের সভাপতিত্বে বর্তমানে পরিচালিত ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে (সিভিএফ) মালদ্বীপের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ বিষয়ভিত্তিক অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
 
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন বলে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


 
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক এবং সিভিএফ সভাপতির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সিভিএফ প্রেসিডেন্সি ও সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি এসময় মতবিনিময় করেন।
 
সিভিএফ বৈশ্বিক জলবায়ু জরুরি অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি হুমকির সম্মুখীন ৪৮টি উন্নয়নশীল দেশের একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, যেখানে বাংলাদেশ ২০২০-২০২২ সময়ের জন্য ফোরামের প্রেসিডেন্ট।
 
অ্যাম্বাসেডরদের বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ব্যবহার করে সিভিএফকে আরও কার্যকর এবং এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে সিভিএফের লক্ষ্য অর্জন করার জন্য এ পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদসহ পাঁচজনকে বিষয়ভিত্তিক অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক অ্যাম্বাসেডররা হলেন- বাংলাদেশের অটিজম কর্মী ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেল সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, ফিলিপাইনের রাজনীতিবিদ, পরিবেশবাদী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাবেক সাংবাদিক বর্তমানে এন্টিকের প্রতিনিধি এবং হাউসের ডেপুটি স্পিকার লোরনা রেজিনা লোরেন বাউতিস্তা লেগার্দা, জলবায়ু বিষয়ে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের একজন সিনিয়র আলোচক তোসি এমপানু-এমপানু এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের একজন প্রখ্যাত কবি, জলবায়ু কর্মী ও জাতির জলবায়ু দূত ক্যাথি জেটন-কিজিনার।
 
প্রেসিডেন্ট নাশিদের সিভিএফ অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করার প্রারম্ভিক সভায় বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ নাশিদের ২০০৯ সালে সিভিএফ প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করেন এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ফোরামটি শুরুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সিভিএফ সভাপতি শেখ হাসিনা সংগঠনটির কার্যক্রমে বিষয়ভিত্তিক অ্যাম্বাসেডর হিসেবে প্রেসিডেন্ট নাশিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
 
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রেসিডেন্ট নাশিদ বিশ্বের নেতা, জনগণ, বিভিন্ন দেশের সংসদ এবং অন্য অংশীদারদের সঙ্গে সিভিএফ এর জন্য কাজ করবেন। তিনি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে বর্ধিত প্যারিস চুক্তির জাতীয় অনুদান বা এনডিসি সরবরাহের উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করবেন। প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের উন্নত প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান কার্বন নির্গমন ও স্থিতিশীলতা দূর করার লক্ষ্যে জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা রচনা করতে প্রেসিডেন্ট নাশিদ আগ্রহী সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন।
 
এছাড়াও অর্থনীতির কিছু অংশ কার্বনমুক্ত করা এবং জলবায়ু অভিযোজন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে তিনি সিভিএফ দেশগুলোতে প্রযুক্তি হাব স্থাপনের প্রস্তাব রাখার বিষয়ে কাজ করবেন মর্মেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।