ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

পাঞ্জাবের গবাদিপশু প্রতিযোগিতা ছড়াতে পারে ভয়ানক রোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৭
পাঞ্জাবের গবাদিপশু প্রতিযোগিতা ছড়াতে পারে ভয়ানক রোগ গবাদি পশু

ঢাকা: পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলায় এফডিএম নামে গবাদিপশুর একটি ভয়ানক সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতেও সেখানে আয়োজিত গবাদিপশু প্রতিযোগিতার কোনো হেরফের করবে না রাজ্য সরকার। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতাটি। এফডিএম বায়ু বাহিত রোগ হওয়ায় এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রোগটি ভারতের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারি তথ্যমতে, পাতিয়ালাতে এফডিএমে’র (ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিস) প্রাদুর্ভাব ঘটে সেপ্টেম্বরে। অল্প সময়েই বেশ কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস সংক্রমিত এ রোগ।

খুর বিশিষ্ট প্রাণী যেমন- গরু, মহিষ, শুকর, ছাগল প্রভৃতি এর দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত প্রাণীর দুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আক্রান্ত প্রাণীর মুখে ফোস্কা সৃষ্টি হওয়ায় খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না, ফলে এক পর্যায়ে দুর্বল হয়ে মারা যায় গবাদিপশু।  

এফডিএম বায়ুবাহিত হওয়ায় খুব সহজেই অন্য প্রাণীতে এ রোগ সংক্রমিত হয়। এমন বিপদজনক পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার আয়োজন করেছে ‘ন্যাশনাল লাইভস্টক চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যান্ড অ্যাগ্রি-২০১৭’। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের গবাদিপশু পাঞ্জাবের পাতিয়ালাতে আসার কথা। তাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রাণীদের মাধ্যমে রোগটি ভারতের অন্যত্র ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।  

প্রাণী চিকিৎসক প্রকাশ সিং বলেন, ‘যে গ্রামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়েছে, আমাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে রোগটি হানা দিয়েছে। এটি একটি বায়ুবাহিত রোগ। আশপাশের ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এ রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

রাজ্য সরকারের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রোগ প্রতিরোধ করার বদলে সরকার ব্যাপারটি লুকানোর চেষ্টা করছে। তারা স্বীকারও করছে না এ রোগের প্রাদুর্ভাবের খবর। এরমধ্যে গবাদিপশুদের নিয়ে একটি জাতীয় প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে ফেলেছে সরকার।

পাতিয়ালা জেলার গবাদিপশু প্রশিক্ষণ আধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জানান, যেসব প্রাণীর ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট নেই, তাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া, সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  
তবুও এফডিএম ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখছেন পাতিয়ালির কৃষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এফডিএম প্রাণীর দেহে ছয় মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে। কিন্তু পাতিয়ালায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তিন মাসও হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।