ঢাকা, বুধবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৮ মে ২০২৫, ০০ জিলহজ ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

পাঁচ হাত বদলে ক্রেতার হাতে পণ্য

খুচরা-পাইকারিতে দামের বিশাল ফারাক

গৌতম ঘোষ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:০৭, মে ২৭, ২০২৫
খুচরা-পাইকারিতে দামের বিশাল ফারাক

ঢাকা: মধ্যস্বত্বভোগীদের অতি মুনাফার কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কৃষকের মাঠ থেকে উৎপাদিত প্রতিটি পণ্য চার থেকে পাঁচ হাত ঘুরে ক্রেতার হাতে পৌঁছায়।

ফলে যত বেশি হাত ঘোরে, ততো বেশি বাড়ে পণ্যের দাম। শনিবার রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা দামের মধ্যে অনেক পণ্যে ১৫ থেকে ২০ টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি পার্থক্য রয়েছে। তবে দামের এই ওঠানামায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন কৃষক বা উৎপাদকরা। লাভ-লোকসানের পুরো চাপই শেষ পর্যন্ত তাদেরই ওপর পড়ে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট অনেক বেশি। তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একইসঙ্গে করপোরেট কোম্পানিগুলো এখন এই বাজারে নতুন করে প্রতিযোগিতা তৈরি করছে। ফলে অনেক ব্যবসায়ী এ বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না।

এ ছাড়া পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে আনতে পরিবহনসহ কিছু খরচ রয়েছে। খুচরা বিক্রির সময় পরিমাণে কিছু বেশি দিতে হয় এবং কিছু পণ্য নষ্টও হয়। এরপর অল্প কিছু লাভে তারা পণ্য বিক্রি করেন। এ জন্য সরকারকে উৎপাদন পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে সরকারের বাজারের ওপর একটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। একই সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগী কমবে বলেও মনে করেন তারা।

রাজধানীর পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, রায়সাহেব বাজার, বাবুবাজার, নয়া বাজার ও ধূপখোলা মাঠ বাজার ঘুরে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের দামে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। এসব বাজারে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম এখনো চড়া। খুচরা বাজারে পণ্যের দামে এলাকাভেদে পার্থক্য রয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, যেসব এলাকায় উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি বাস করেন, সেসব বাজারে ভালো মানের ও বড় আকারের পণ্য বিক্রি হয়, ফলে দামও তুলনামূলক বেশি থাকে।

রায়সাহেব বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি পর্যায়ে আলুর কেজি ১১ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে একই আলু সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শুধু আলু দিয়েই উদাহরণ দিলাম। অন্যান্য পণ্যেও পাইকারি আর খুচরা দামের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। বড় বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই পণ্য এনে নতুন করে আরও দাম বাড়িয়ে দেয়।

রাজধানীর নয়াবাজার ও রায়সাহেব বাজারে এক কেজি আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, কেরালার আদা ১২০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ টাকা এবং চায়না রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। সূত্রাপুর ও ধূপখোলা মাঠ বাজারে এসব পণ্য দুই থেকে তিন টাকা কম দামে বিক্রি হতে দেখা যায়।

অন্যদিকে, পাইকারি বাজারে আলু প্রতি কেজি ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৪ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪২ টাকা, কেরালার আদা ৬৫ থেকে ৮০ টাকা, চায়না আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না রসুন ১১০ থেকে ১২৫ টাকা এবং দেশি রসুন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে খুচরা ও পাইকারি বাজারের মধ্যে অনেক পণ্যে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দামের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

চিনি, তেল, ডাল ও ছোলার খুচরা দাম পাইকারি দামের চেয়ে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি। অতিরিক্ত দামের দায় নিতে রাজি নন আড়তদারেরা। দাম বাড়ানোর কারসাজিতে তারা বড় ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি মাসে ১৪টি জেলায় চাল, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জরিপ চালায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদন মৌসুম ছাড়া সময়ে এসব পণ্যের দাম বেশি বাড়ে। তাই মৌসুম ছাড়া সময়ে আমদানি উৎসাহিত ও শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজার ঘুরে জানা যায়, খুচরা ও পাইকারি বাজারে চালের দামে পার্থক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে বড় ওঠানামা হয়নি। রশিদ রাইস এজেন্সির মালিক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, মিলগেট থেকে ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা বেশি দামে বিক্রি করি, খুচরায় দাম বেশি। ভোক্তা অধিকারের অভিযান বাড়ানো দরকার।

‘করপোরেট কোম্পানি নতুন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে, যা ছোট ব্যবসায়ীদের টিকতে দেয় না। এজন্য কৃষি মার্কেট চালু করতে হবে, যেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়াতে ও শ্রমিকদের মজুরি ঠিক করতে হবে। সরাসরি কৃষকের প্রতি নজর দিতে হবে সরকারকে, এতে দাম কমে যাবে। ’

অন্যদিকে আলুর দাম গত এক সপ্তাহে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরায় আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে, পাইকারিতে ১০ দশমিক ৫০ থেকে ১৪ টাকা কেজিতে। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী মো. আব্দুল মতিন বলেন, আলুর দাম ১১ থেকে ১৩ টাকা কেজি, মাঝে মাঝে ৮ থেকে ১০ টাকাও হয়েছে। পাইকারি ও খুচরায় দাম পার্থক্য পাঁচ-ছয় টাকা হওয়া উচিত, তবে অনেক সময়ই বেশি হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বছরে প্রায় এক কোটি ৬ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়, চাহিদা ৯০ লাখ টন। গত বছর তথ্যের ভুলের কারণে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কৃষকের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৭ টাকা হলেও আলু বিক্রি হয় ১৮ থেকে ৩৫ টাকায়, আর খুচরায় দাম ৪০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। দাম বাড়ার পেছনে মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা রয়েছে।

পেঁয়াজের দাম খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পাইকারিতে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা কেজি, যার পার্থক্য ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। উৎপাদন খরচ ৩৫ টাকা। শ্যামবাজার ও ঢাকার অন্যান্য বাজারে দাম ভিন্ন। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দাম স্থির নয়। এখন কৃষকের কাছে পেঁয়াজ কম, মজুতদারের হাতে বেশি, যা আগামী দুই-তিন মাস চলবে।

আদা ও রসুনের দাম কমছে। খুচরায় কেরালার আদা ১২০, চায়না আদা ১৮০ টাকা। পাইকারিতে কেরালা আদা ৬৫ থেকে ৮০, চায়না আদা ১০০ থেকে ১১৫ টাকা। চায়না রসুন খুচরায় ১৮০ টাকা কেজি, আর দেশি ১৪০ টাকা, পাইকারিতে চায়না ১১০ থেকে ১২৫ টাকা, দেশি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মজুতদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। উৎপাদনের পরে পাঁচ হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে পৌঁছায় পেঁয়াজ। গত বছর বেশি মুনাফার কারণে এ বছর পেঁয়াজ চাষ বেড়েছে, কিন্তু শ্রমিক ও বীজ খরচ বাড়ায় কৃষক ২৪ শতাংশ লোকসান ভোগ করছে।

ডিমের দামও বর্তমানে কিছুটা বেশি। ফার্মের লাল ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, সাদা ডিম ৪৪ টাকা, দেশি ডিম ৭০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ টাকা। পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কম।  

রায়সাহেব বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. রিয়াদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গড়ে মাত্র ৩০ পয়সা লাভে ডিম বিক্রি করি। ভাঙা ডিম, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ যুক্ত করে দাম নির্ধারণ করি। আমরা বেশি দামে ডিম কিনি, তাই দামও বেশি হয়। ডিমের দাম কমানোর জন্য পোলট্রি খাদ্যের দাম কমানো প্রয়োজন। দুই বছর আগে ডিম বিক্রি করে লাভ হতো, এখন আর লাভ হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিমের বাজারে দুই থেকে তিন ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী রয়েছে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পোলট্রি খাদ্যের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

রায়সাহেব বাজারের আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের খুচরা বিক্রেতা বলরাম সাহা বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৫ দিনে আলু ও পেঁয়াজ ছাড়া নতুন কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। আমরা পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে খুচরায় বিক্রি করি। সরাসরি আড়ত থেকে পণ্য নিই।

তিনি বলেন, আড়ত থেকে বস্তা কিনলে প্রতি বস্তায় তিন থেকে চার কেজি পচা পণ্য ফেলে দিতে হয়, তাই আমাদের দাম একটু বেশি হয়। সব খরচ মিটিয়ে খুব অল্প মুনাফায় পণ্য বিক্রি করতে পারি, কখনো কখনো লোকসানও হয়।

সূত্রাপুর বাজারের মেসার্স আদনান অ্যান্ড আরাফা ট্রেডার্সের মালিক হাজী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, পণ্য যত বেশি হাত ঘুরে, দাম ততো বেশি বাড়ে। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পণ্যের দামও ভিন্ন ভিন্ন। তবে নিত্যপণ্য সব বাজারে এক দর হওয়া উচিত। পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যে দাম পার্থক্য কমানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য মধ্যস্বত্বভোগীরাই দায়ী। তারা নিজেদের মতো দাম নির্ধারণ করেন, যার ওপর কোনো নজরদারি নেই। এজন্য সরকারকে উৎপাদন পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষক যেন নিজেরাই পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারে, এজন্য আরো বেশি কৃষি মার্কেট তৈরি করা প্রয়োজন। এতে সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ বাড়বে এবং মধ্যস্বত্বভোগী কমবে।

তিনি আরও বলেন, আমি পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় এনে খুচরা বাজারে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করি। কিন্তু পাশের দোকানে পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখে প্রতিযোগিতার কারণে আমাকে কম মুনাফায় বিক্রি করতে হয়। এতে ক্রেতারা বিভ্রান্ত হন, কম দামে পণ্য দেখে মনে করে পণ্য খারাপ।

সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক গবেষণায় দেখা যায়, শুধুমাত্র হাত বদলের কারণে কোনো পণ্যের দাম নয়গুণ পর্যন্ত বাড়ে। গবেষণায় নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, সরবরাহ ঘাটতি, অদক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা, উচ্চ পরিবহন ব্যয়, বাজারের আধিপত্য এবং সীমিত দর কষাকষির ক্ষমতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে উঠে আসে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি আড়তে নিয়ে আসা সম্ভব হলে খাদ্যপণ্যের দাম অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য আড়তে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক হলেও ভোক্তা পর্যায়ে সেগুলো থেকে সুবিধা পৌঁছাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই পণ্যের দাম বাড়ছে। করপোরেট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মজুত বা সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে অর্থ লুট করছে। এটি করপোরেট ব্যবসায়ীদের একটি বাজে অভ্যাস। আমরা সবাই জানি সিন্ডিকেট কারা করে। এজন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকার কঠোর না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাচ্ছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্সের মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।