ঢাকা, শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রী নয়, জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই গর্ববোধ করি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী নয়, জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই গর্ববোধ করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, তিনি গর্ব অনুভব করেন জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পদটাকে কিভাবে উপভোগ করবো সেই চিন্তা আমি করি না, মানুষের কল্যাণে নিজেকে কতটুকু নিয়োজিত করতে পারলাম সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, আমি কিন্তু নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার। ’ সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইবো আপনারা সবসময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাইতেই আমি গর্বিত বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব, এটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই। সেটাই আমার কাছে বড়।

সরকারি কর্মচারীদের তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন এটাই থাকবে আপনারা কিন্তু আপনাদের দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করবেন, কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারী।

তিনি বলেন, আপনাদের বেতন-ভাতা কিন্তু বাংলাদেশের ওই সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকাতেই হয়। কাজেই তাদের সেবা করা, তাদের কল্যাণ করা, এটা আপনাদেরই দায়িত্ব।

সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১০ বছর একটানা থাকায় অনেক কাজ করে যেতে পেরেছি। এখনও বহুকাজ বাকি। সেটাও নির্ভর করে বাংলাদশের জনগণের ওপর ৩০ তারিখে যদি তারা ভোট দেয় তাহলে আবার আসতে পারবো এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারবো। নইলে মানুষের ভাগ্য মানুষ বেছে নেবে। এখানে আমার কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। কেননা আমার নিজের জীবনে চাওয়া- পাওয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮ 
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।