ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

লন্ডনে বসে তারেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন: নানক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
লন্ডনে বসে তারেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন: নানক বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সুদূর লন্ডনে বসে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যর্থ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যখন সারাদেশ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরজমান, তখনি আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছি সুদূর লন্ডনে বসে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যর্থ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে এবারের নির্বাচন বানচাল করা যায়, সেই সু-গভীর চক্রান্ত করছেন। যা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এরইমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক সচেতন থেকে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভোট উৎসবে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ নেতা নানক বলেন, আমরা দেখলাম  নয়াপল্টনে ও গুলশানে বিএনপি অফিসের সামনে প্রচণ্ড বিক্ষোভ চলছে। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি, যে বিএনপি নামক দলটি শুরু থেকেই মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলো। সেই বাণিজ্যে এখন বেসামাল পর্যায়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশেই নয় সুদূর লন্ডনে যিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান পর্যন্ত সেই মনোনয়ন বাণিজ্যে পৌঁছে যায়।

জাহাঙ্গীর কবির নানক, সামগ্রিকভাবে বিএনপি নামক দলটি অতীতে আন্দোলনে যেমন লেজেগোবরে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে মনোয়ননের ক্ষেত্রেও লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছে। সেই লেজেগোবরে পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী দলটির কাছে জাতি, রাষ্ট্র, দেশ কোনো সুনির্দিষ্ট গঠনমূলক কিছু আশা করতে পারে না।

খালেদার মনোনয়ন অবৈধ হওয়া নিয়ে রিজভীর বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, আইন নিজস্ব গতিতে চলছে বলেই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে বাতিল হওয়া অধিকাংশ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র নির্বাচনে কমিশনে বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আর বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ গ্রহণে বৈধতা পাইনি। কাজেই এতেই প্রমাণ করে যে নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তার পরেও রিজভী পল্টন অফিসে বসে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যেসব আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো তাদের নেত্রীর নিদের্শনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে নানক বলেন, যে দু’একটি এলাকা আছে সেগুলোও আশাকরি দু’এক দিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করে নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮/আপডেট: ১৬৫০
এসএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।