ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

বিএনপি নেতারা আদালতকে হুমকি দিচ্ছেন: ড. হাছান 

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
বিএনপি নেতারা আদালতকে হুমকি দিচ্ছেন: ড. হাছান  বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতারা মাঠ গরম করছেন। টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দিচ্ছেন। আদালতকে হুমকি দিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার শাস্তি হবে কি-না সেটা জানেন আদালত। তবে তারা (বিএনপি নেতারা) বলে শাস্তি হলে আগুন জ্বলবে। 

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট: চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস।

 

সভার প্রধান অতিথি ড. হাছান মাহমুদ তিনি বলেন, যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে এসি রুমে বসে হিন্দি সিনেমা দেখে তাদের ডাকে কোনো কর্মী মাঠে আসবে না। বিএনপির নেতাদের এসব তর্জন-গর্জন বর্ষাকালের ব্যাঙের ডাকের মতো। বিএনপির জন্য এখন রাজনীতিতে বর্ষাকাল।

আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র  বলেন, বর্তমানে সরকারের মন্ত্রী এমপিরাও আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কেউ জেলও খাটছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া আদালতকে হেনস্তা করেছেন। দেশে থেকে বারবার সময় নিয়েছেন। দেশে থেকে এভাবে বারবার আদালতের কাছে সময় নেওয়ার রেকর্ড মনে হয় আর নেই।

বিএনপি আমলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ করেও হেলিকপ্টার পাওয়া যায়নি। হেলিকপ্টার পাওয়া গেলে শাহ এএসএমএস কিবরিয়ার জীবন রক্ষা পেত। বিএনপি-জামায়াত সরকারের নীলনকশায় কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে বিএনপি নেতারা জড়িত।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুক, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, সংগঠনের সহ সভাপতি চিত্রনায়িকা দিলারা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, শাহ আলম, হাবিব উল্লাহ রিপন, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়কারী শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, নগর আওয়ামী লীগ নেতা মিনহাজউদ্দিন মিন্টু, রোকনউদ্দিন পাঠান, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জুয়েল, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, সোহেলী পারভীন মনি, শেখ নওশের আলী প্রমুখ।  

চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের দু’টি অংশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই এক হয়েছি।  

‘আমাদের মধ্যে দু’ভাগে বিভক্ত নয়। এখন থেকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট একটি,’ বলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।