ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

ফেঞ্চুগঞ্জে সমাবেশকে ঘিরে আ’লীগের ‍দু’পক্ষ মুখোমুখি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
ফেঞ্চুগঞ্জে সমাবেশকে ঘিরে আ’লীগের ‍দু’পক্ষ মুখোমুখি! আওয়ামী লীগের এক পক্ষের সমাবেশস্থল। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: বেশ কিছুদিন ধরে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগ। এতোদিন অনেকটা গোপনে বা ঘরোয়া পরিবেশে থাকলেও সেই বিরোধ এবার ছড়াচ্ছে মাঠে ময়দানে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিতব্য একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও প্রতিপক্ষ উপজেলা সাধারণ সম্পদক আব্দুল বাছিত টুটুল বলয়ের নেতাকর্মীরা।  

এমপি পক্ষ যেকোনো মূল্যে সমাবেশ প্রতিহত করবেন, পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষ বলয় সমাবেশ সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

দলীয় সূত্র জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বিরোধী পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতারা উপজেলার পালবাড়ি এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। অতিথি হিসেবে আরও থাকছেন ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান ছাড়াও সিলেট আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।

কিন্তু স্থানীয় সংসদকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সমাবেশের আয়োজন করায় ফুসে ওঠেন এমপি পক্ষের নেতাকর্মীরা। তারা এই সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে, সমাবেশ সফল করার জন্য প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের ৩০০ থেকে ৪০০ নেতাকর্মী মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে মঞ্চ তৈরি করে সেখানে অবস্থান করছেন।

এমপি বিরোধী পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা আশির দশকে ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে বলেন, বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের জন্য পূর্ব নিধারিত এ অনুষ্ঠান বন্ধে স্থানীয় এমপি সমাবেশস্থলে হুমকি দিয়ে গেছেন। সমাবেশ বন্ধ না করলে নিজে এসে বন্ধ করে দেবেন এমন ঘোষণাও দেন তিনি। এমনকি ডেকোরেটার্স মালিককে হুমকি দিয়ে ফেরানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জে আওয়ামী লীগের এখনকার রাজনৈতিক চর্চা দেখলে মনে হয় নিজের গায়ে এসিড নিক্ষেপ করি। ফেঞ্চুগঞ্জের রাজনীতির নেতৃত্ব প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে আসুক এটাই তাদের চাওয়া।

সূত্র জানায়, এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ওই এলাকা পরিদর্শনে যান সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মনিরুজ্জামানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তারাও এই বিষয়টি অবগত হয়েছেন। কিন্তু তারা স্থানীয় পুলিশকে কোনো ধরণের প্রদেক্ষেপের নির্দেশনা দেননি।  

এ ব্যাপারে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা ওই উপজেলায় গিয়েছিলেন। তবে সমাবেশকে ঘেরে উত্তেজনার বিষয়টি তার জানা নেই।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নামজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সমাবেশের বিষয়ে আসেনি। এসেছিলেন থানা পরিদর্শনে।  

তবে সমাবেশে এমপি পক্ষ বাধা দিতে যাবে না বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এনইউ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।