ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

৩৪ বছর ধরে সুন্দরগঞ্জ আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমপি মোস্তফা

পিয়ারুল ইসলাম হুমায়ূন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
৩৪ বছর ধরে সুন্দরগঞ্জ আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমপি মোস্তফা গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয়

গাইবান্ধা: টানা ৩৪ বছর ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন এমপি গোলাম মোস্তফা আহমেদ।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এই এমপি সাধারণের কাছে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রয়েছে তার।

এ কারণে তিনি লুঙ্গি-গামছা পড়া নেতা বলে এলাকায় সুপরিচিত।  

এদিকে, আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান এই নেতার মৃত্যুতে সংগঠনটি একজন অভিভাবক ও ত্যাগী নেতাকে হারালো।  

গোলাম মোস্তফা আহমেদ সুন্দরগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে এসএসসি পাসের পর ছাত্রলীগে যোগদান করা এই নেতার রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তিনি এরপর ১৯৬৮-১৯৭৩ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগ ও সুন্দরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ১৯৬৯ সালে নলডাঙ্গা কলেজের ভি পি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী যুবলীগে যোগদান করে ১৯৭৭ পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে সুন্দরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগে যোগদান করে ১৯৭৯ সালে সুন্দরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৮৩ সালের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলার রহমান বাংলানিউজকে জানান, গোলাম মোস্তফার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছেন তিনি। সর্বপরি এমপি একজন ভালো মানুষ। এমপি হওয়ার পর তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাকে হারিয়ে সুন্দরগঞ্জবাসী ক্ষতিগ্রস্ত।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  

এর আগে, ১৮ নভেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়ায় বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আহত হন এমপি মোস্তফা। এরপর তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এমপি মোস্তফার প্রথম জানাজার নামাজ দুপুর ১২টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয় গাইবান্ধা শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে। বিকেল ৩টায় জেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ সুন্দরগঞ্জে নেওয়া হয়। বাদ মাগরিব সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর ফুটবল খেলার মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে নিজ বাড়ির উঠানে তাকে দাফন করা হয়।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। এরপর ২২ মার্চের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন গোলাম মোস্তফা আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।