ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

জবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
জবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

জবি: তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ৫ কর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে নাভিদ নামে একজনের অবস্থা গুরুতর।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা চাপাতি, রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে মহড়াও দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মীদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।  

পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে তা মীমাংসা হলেও ক্যাম্পাস ছুটির পর সাধারণ সম্পাদক রাসেল গ্রুপের কর্মীরা সভাপতি তরিকুল গ্রুপের মিরাজকে পেটান। এ সময় তরিকুল গ্রুপের নাভিদ বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে তাকেও রড দিয়ে পেটান রাসেল গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। এতে তার মাথা ফেটে গেলে নিকটস্থ সুমনা হাসপালে ভর্তি করা হয়।  

পরবর্তীতে তরিকুল গ্রুপের কর্মীরা একত্রিত হয়ে রাসেল গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা ক্যাম্পাসে আশ্রয় নেন। এ সময় রাসেল গ্রুপের ২/৩ জনকে তরিকুলের কর্মীরা পেটান বলেও জানা যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কথা বলতে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অন্যদিকে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর কে বা কারা মারামারি করেছে তা ঠিক জানি না। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে এখন বসতে যাচ্ছি। তাদের সাথে বসে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে প্রক্টর স্যারকে অনুরোধ করেছি জড়িতদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জবি ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
ডিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।