ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘খালেদার দুর্নীতি বিদেশে ধরা পড়ায় বিএনপি দিশেহারা’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
‘খালেদার দুর্নীতি বিদেশে ধরা পড়ায় বিএনপি দিশেহারা’ বক্তব্য রাখছেন ড. হাছান মাহমুদ।

ঢাকা: খালেদা জিয়ার দুর্নীতি বিদেশে ধরা পড়ায় বিএনপি নেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় তিন নেতার মাজারে গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদিআরবে দুর্নীতির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবসহ ১২টি দেশে অবৈধ সম্পদ আছে।

আর  এখন এই খবরে বিএনপি নেতারা চুপসে গেছে। ফখরুল সাহেবের মুখেও কোন কথা নাই। কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। যে সম্পত্তিগুলোর কথা বের হয়ে এসেছে, সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হোক। সেইসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রিত অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন  কমিশন আওয়ামী লীগের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন অনেক সুবিধা দিয়েছে এবং দিচ্ছে। নির্বাচনি প্রচারণায় বিএনপির  সাবেক মন্ত্রীরা যেতে পারে, এমনকি খালেদা জিয়ারও যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা নাই। অথচ আওয়ামী লীগের কোনো এমপি সেখানে গিয়ে প্রচারণা চালাতে পারে না। এটি কি আওয়ামী লীগের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ নয়?

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি যেমন একটি রাজনৈতিক দল, তেমনই আওয়ামী লীগও একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে তারা যেমন একটি পক্ষ, আমরাও একটি পক্ষ। আমাদের দাবি হচ্ছে, সংবিধানের এক চুলও ব্যত্যয়  ঘটানো যাবে না। সংবিধানে যা আছে ঠিক সেইভাবে নির্বাচন হতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।

রাজনীতিতে জিয়াউর রহমান বণিকায়ন ও দুবৃত্তায়ন সূচনা করেছেন। আর এরই ধারাবাহিকতা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন খালেদা- তারেক চক্র। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় বসেন তখন তিনি প্রকাশ্যে বলতেন 'মানি ইজ নো প্রবলেম'। আর একটি কথা বলতেন, 'আই স্যাল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট'। তিনি সেই কাজটিই করে গেছেন ।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতন্ত্রের মানস পুত্র। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেক বিশ্বাস করতেন। তিনি কখনো ড্রয়িং রুমের রাজনীতি করেননি। তিনি প্রথমে শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তিনি রাজনীতিকে ব্রত  হিসেবে নিয়েছিলেন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ অাব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অাক্তারুজ্জামান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  অ্যাডভোকেট সামছুল হক টুকু, বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ সভাপতি জিন্নাত অালী খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।