ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

হাসিনার উন্নয়নে গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
হাসিনার উন্নয়নে গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মরণসভা

ঢাকা: বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো বটবৃক্ষ দলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে গণঅভ্যুত্থান এখন জাদুঘরে। শব্দটি এখন নামান্তর মাত্র। গণঅভ্যুত্থানের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নগর ভবন প্রাঙ্গণে প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ হানিফের ছেলে মেয়র সাঈদ খোকন।

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়। মোহাম্মদ হানিফের এক ধাক্কায় সরকারের পতন হয়েছিল মনে আছে? আওয়ামী লীগ সেই দল নয়। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে; আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। ধাক্কা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই বটবৃক্ষের পতন হবে না।  

শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়ে গণঅভ্যুত্থান শব্দটিকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান এখন জাদুঘরে। শেখ হাসিনার উন্নয়নে গণঅভ্যুত্থান শব্দটি এখন দুঃস্বপ্নের নামান্তর। তাই দুঃস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই।  

তিনি বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নে এত খুশি যে, সাড়ে ৮ বছরে বার বার সরকার হটানোর ডাকে সারা দেয়নি। আগামী এক বছরেও সারা দেবে না।

নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। তাই বলে এই দলকে তুচ্ছ করছি না। এই দলে আওয়ামী লীগ বিরোধী সকল শক্তি শামিল হয়েছে। সকল সাম্প্রদায়িক শক্তি আজ বিএনপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। ফলে তাদের দুর্বল ভাবার কারণ নাই।  

১৯৯১ সালের নির্বচনের ইতিহাস তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৯১ সালে আমাদের কী হয়েছিল? জিতেই আছি। তখন অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলে এত নেতা, নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা কঠিন। বিলবোর্ডে তাকালেই দেখি পাতি নেতা, সিকি নেতা। নেতার ভিড়ে দুঃসময়ের কর্মীরা কোনঠাসা হয়ে যায়।  

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মেয়র সাঈদ খোকনকে ডেকে দু’জনের হাত মিলিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছিল, মীমাংসা হয়ে গেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলের সদস্য করবেন না। নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিজেরা মেটাতে না পারলে আমাদের ডাকুন আমরা সুরাহা করে দেব।

নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ঘরে ঘরে জনসংযোগ করুন। আমাদের ফোকাস পয়েন্ট নারী ও তরুণভোটার।

আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আওয়ামী লীগে সদস্য করা যাবে না। চিহ্নিত কোন চাঁদাবাজকে সদস্য করা যাবে না। চিহ্নত কোনো সম্প্রাদায়িক শক্তিকে সদস্য করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭/আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।