ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি এলোমেলো বক্তব্য দিচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি এলোমেলো বক্তব্য দিচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি এলোমেলো বক্তব্য দিচ্ছে/ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার সরকার যে ধরনের ব্ল্যাকমেইল ও আইওয়াশ বক্তব্য দেয়, বিএনপিও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য ইউনেস্কোরর স্কীকৃতি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে জাতীয় প্রেসক্লাব।


  
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এক গ্রুপ বলে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের যাবে, আবার অন্য গ্রুপ বলে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তারা নিজেরাই জানে না তারা কি চায়। তবে বিএনপি একটা বিষয় বুঝতে চায় না যে, সরকার বা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু তার রুটিন ওয়ার্ক করবে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়।  

আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেই ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়, স্বাধীন হয় সেই ব্যাপারে সহায়তা করবে শুধু নির্বাচনকালীন সরকার। কোনো মেজর কাজ করবেনা ওই সময়। সব কিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে কোনো কিছু থাকবে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনও থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, এক সময় বলে তত্ত্বাবধায়ক আবার বলে সহায়ক সরকার। তারা কার কাছে এই দাবি জানায়? তারা ইসিকে বলে সহায়ক সরকারের কথা। ইসি এখানে কি করবে? পরে আবার বলে ইসি নাকি সরকারকে বুঝাবে। যেনতেন প্রকারে তাদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। তা না হলে তারা শান্তি পাবে না।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে সৌজন্যতা বোধ নাই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এতো কিছুর পরও খালেদা জিয়াকে বেগম জিয়া বলি। আর ওনারা বলে হাসিনা-হাসিনা। এটা আমাদের কষ্ট লাগে। কারণ বর্তমানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। যখন ওনার ছেলে মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী ছুটে গেছেন, ওনাকে শান্তনা দিতে। কিন্তু তখন তিনি দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি এখন সংলাপের কথা বলে। সংলাপের দরজা তো ওই দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন, নিজের দরজা বন্ধ করে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এ বছর আমরা অনৈক্য এফোর্ড করতে পারবো না। আওয়ামী লীগের জনসর্মথনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু দলের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে। সেই গুলোকে সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীই লীগের বিজয় হবে।

সাংবাদিকদের একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারাও এক সঙ্গে ঐক্যবন্ধ থাকেন। নিজেদের মধ্যে ঐক্য থাকলে দাবি আদায়ে সহায়তা হবে। আর দুর্বলতা থাকলে অন্য যে কেউ আঘাত করতে পারবে।

নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে কাদের বলেন, আমার তথ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী সপ্তাহে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ের জন্য পদক্ষেপ নিবেন। আগামীকাল তথ্যমন্ত্রী মালিক ও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ সফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এমএসি/এসএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।