ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপি সিপিএ সম্মেলনে বিঘ্ন ঘটাতে চেয়েছিলো’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
‘বিএনপি সিপিএ সম্মেলনে বিঘ্ন ঘটাতে চেয়েছিলো’ বক্তব্য রাখছেন ড. হাছান মাহমুদ।

ঢাকা: জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার নামে বিএনপি সিপিএ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

রোববার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অতীতে তাদের যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করেছে।

মঙ্গলবারও (৭ নভেম্বর) যদি তারা একই কাজ করতো তাহলে সম্মানটা শুধু  বিএনপির যেতো না, দেশ-জাতিরও যেতো। সে কারণেই তাদের সীমিত আকারে জিয়ার কবরে যেতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তাতে রাজি হয়নি।

বিএনপি কখনোই দেশের সম্মান রক্ষা করতে পারেনি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার পরও হরতালের অযুহাতে যে দল তার সাথে দেখা না করে দেশের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছিলো, তারা কখনো নিজেদের সম্মান যেমন রাখতে পারে না, তেমনি দেশের সম্মানও রাখতে পারে না।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন,  শহর তথা দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সকল নাগরিকেরই দায়িত্ব। সবাই মিলে শহর তথা দেশকে অপরিষ্কার করলে গুটিকয়েক পরিচ্ছন্ন কর্মীর পক্ষে কখনোই শহরটাকে পরিষ্কার রাখা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কেন্দ্র থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা সম্ভব হতো যদি ওয়ার্ড পর্যায়ে দায়িত্ব দেওয়া হতো এবং চাহিদা অনুযায়ি সহায়তা করা হতো। পাশাপাশি ওয়ার্ড কমিশনারদের কোন ওয়ার্ড কত বেশি পরিচ্ছন্ন সেটার উপর নির্ভর করে যদি প্রতি বছর পুরস্কৃত করা হতো কিংবা যারা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে তাদেরকে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হতো। তাহলে ঢাকা শহরে যতো ওয়ার্ড আছে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। আর যদি জনগণ এর সাথে সম্পৃক্ত হতো তাহলে  অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেই পরিবর্তনটা করা সম্ভবপর হতো।

পরিবেশ বাঁচাও অান্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অাবুল কালাম অাজাদ, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সভাপতি রিনা বেগম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।