ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সাগর পাড়ে যেখানে উপন্যাস লিখতেন ওবায়দুল কাদের

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
সাগর পাড়ে যেখানে উপন্যাস লিখতেন ওবায়দুল কাদের ছবি: সৈকত খন্দকার, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ফটোজানালিস্ট

কক্সবাজার থেকে: দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে ত্রাণ দিয়েছেন। এরপর দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক সাক্ষাত। বিকেলে মিলাদ মাহফিল-এতো সব ব্যস্ততা সেরে মন্ত্রীর ইচ্ছে হলো সমুদ্র পাড়ে যাবেন। 

দিনে গেলে সেলফি যন্ত্রণা লেগে যায়। তাই সন্ধ্যা-রাত বেছে নিলেন।

গাড়ি বহর নিয়ে ছুটলেন। মেরিন ড্রাইভ ধরে ছুটে চললো গাড়ির বহর। যেখানে গিয়ে থামলেন মন্ত্রী, সেটা ইনানী সমুদ্র সৈকত। সেনাবাহিনীর একটি রিসোর্টের সামনে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এখানেই বসেই শেষ করেছিলাম আমার গাঙচিল উপন্যাস। ’
 
এককালের ছাত্রনেতা, পরে ছাত্রলীগের কাণ্ডারি। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সরকারের দুই বারের মন্ত্রী, এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি, ওবায়দুল কাদের এমপি।  
 
ঢাকা থেকে তার সফরসঙ্গী হিসেবে রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকরা সুযোগ পেলেন সমুদ্র পাড়ে তার সঙ্গী হওয়ার। মন্ত্রীর সঙ্গে সমুদ্রের খোলা হাওয়ায় বসে চা খাওয়া আর আড্ডা চললো।  
 
যে মেরিন ড্রাইভ ধরে মন্ত্রী এসে দাঁড়ালেন-এটিও তার মন্ত্রণালয়ের কাজ। বাংলাদেশের স্বপ্নের একটি সড়ক। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সাগরপাড়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের কারিগর ওবায়দুল কাদের। সেনাবাহিনী এটি বাস্তবায়ন করেছে। উত্তাল উর্মিমালা তাড়িয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ঠিক রাখতে বিশেষ টেট্টাপড পদ্ধতি নেয়া হয়।  
 
মন্ত্রী হিসেবে এই সড়ক পথ নির্মাণকালে বহুবার এসেছেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে লিখে শেষ করেছেন উপন্যাস গাঙচিল। সেই গাঙচিল উপন্যাসের শেষ অংশ যেখানে বসে শেষ হয়েছিলো সেটি ইনানী বে-ওয়াচ রিসোর্ট। রিসোর্টটি ঠিক সাগরঘেঁষা। তার বারান্দা থেকে সাগরের উত্তাল উর্মিমালা প্রত্যক্ষ করতেন পোড় খাওয়া সংগ্রামী রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদের। যিনি একজন কবি, ঔপন্যাসিক আর লেখকও। ছাত্রলীগের রাজনীতির পর কিছুদিন সাংবাদিকতা করেছেন। ছিলেন বাংলার বাণী পত্রিকার অ্যাসিসট্যান্ট এডিটর।  
...রাজনৈতিক ব্যস্ততায় লেখালেখিতে একটু যে এখন ভাটা পড়েছে সেটি জানালেন আবার এখানে বসেই। এখন যে উপন্যাস তার হাতে সেটি বেশ কিছুদিন ধরে লেখা বন্ধ। এটি পদ্মাপাড়ের এক প্রেমকাহিনী। পদ্মাসেতুর কাজ যেখানে চলছে। সেখানে গিয়েই এটি লেখা এগিয়ে নিচ্ছিলেন ঔপন্যাসিক কাদের। দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে সে উপন্যাস এখনও আলোর মুখ দেখেনি…

তার রাজনৈতিক ব্যস্ত সেই ভোর থেকে…। ঘুম থেকে জেগে ‌উঠেই জগিং করেন। হাতে থাকা ফোনে দেশের সব সড়ক প্রকৌশলীকে জাগিয়ে তোলার কাজ যেন তিনিই করেন। রাস্তায় বের হয়ে কোন সড়কের অবস্থা কি তা জানাতে আর রস্তা দ্রুত ঠিক করে দিতে একের পর এক ফোন করতেই থাকেন।  
 
মন্ত্রী একাধিকবার জানিয়েছেন, সকাল ১০টার মধ্যে তার সব কাজ শেষ হয়ে যায়। দিনে মেলা সময় পান তিনি। এ সময় মন্ত্রিত্ব আর দল নিয় ব্যস্ত থাকেন।  

ওবায়দুল কাদের গত শনিবার সকাল থেকে তার কর্মসূচি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে শুরু করেন। দুপুর আড়াইটায় চন্দনাইশ থেকে যে পথসভা শুরু হয়, কক্সাবাজার পর্যন্ত তা গিয়ে ঠেকে  ১০টিতে। ১০  পথসভায় লাখো মানুষের ঢল পেরিয়ে গভীর রাতে হোটেলে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। পথে পথে নারী-পুরুষের সারিবদ্ধ অভিবাদন নিয়ে পথমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন।
  
সোমবার (০৬ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজারে সমাবেশ করে দুপুরেই ঢাকায় ফিরবেন ওবায়দুল কাদের।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এসএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।