ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

অধিকারের কথা বলার সাহস ছিল না জিয়া-এরশাদ-খালেদার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৭
অধিকারের কথা বলার সাহস ছিল না জিয়া-এরশাদ-খালেদার জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

কক্সবাজার থেকে: বাংলাদেশের অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগ সরকার সবর্দা সচেষ্ট দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে ন্যায্য অধিকার আদায়ে কেবল আমরাই সফল হয়েছি, ইতোপূর্বে ক্ষমতায় থেকে অধিকারের কথা বলার সাহসই ছিল না জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার।

বিএনপির চরিত্র দেশের উন্নয়ন নয়; আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করে বিএনপি-জামায়াতের কাজ তা ধ্বংস করা বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

‘‘বিএনপি দুর্দিনও নেই, উন্নয়নেও নেই,’’ যোগ করেন তিনি।

 

শনিবার (৬ মে) বিকেলে কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরপাড়ের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জনসভাস্থলের পাশে ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে কক্সবাজার বিমানবন্দর
সাগর সে তার ধোয়ায় পা’টি
ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র জলে পা ভেজানো...
৪ লেন হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক
কক্সবাজারকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভের যাত্রা শুরু

ইনানী বিচে প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ
কক্সবাজারে বোয়িং চলাচলের উদ্বোধন
বোয়িংয়ে চেপে কক্সবাজারে নামলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী


নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসিনা বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ পেয়েছেন, উন্নয়ন-অগ্রগতি পেয়েছেন। আগামী যতো নির্বাচন আছে-মার্কা আছে- নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।

শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। আমি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, যতো মরার কথা, ততো মানুষ মরেনি। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কতো মানুষ মরলে আপনার ততো মানুষ হবে? এরপর আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে এসেছিলোম। যতোটা পেরেছি মানুষকে সহায়তা করেছি। রিলিফ দিতে এসে হুমকির সম্মুখীনও হয়েছি। আর এখন আমি শাসক না, আমি সেবক, সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

কক্সবাজারকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন হবে। এজন্য জমি অধিগ্রহণ শেষ। অতি দ্রুত ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে। এছাড়া সড়কে চারলেনের কাজও শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্যাস সঞ্চালন লাইন চালু করেছি, ১০০টি শিল্প অঞ্চল হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভ হলো এবার নাফ টরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা করে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্রসীমা জয়, স্থল সীমানা চুক্তি, গঙ্গা পানির সুরাহা- সবই আমরাই করেছি। অধিকারের কথা বলার সাহস ছিল না জিয়ার, না ছিল এরশাদ বা খালেদার। খালেদা জিয়া তো দিল্লির লাড্ডু খেয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই যান। দেশে এসে বলেন, ‘ওহ আমি তো ভুলেই গেছি...’। আওয়ামী লীগ এসে অধিকার আদায় করতে পেরেছে। আমরা যেমন বন্ধুত্ব রাখি, ন্যায্য দাবিও আদায় করতে ছাড়ি না, এটাই হচ্ছে আমাদের নীতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এমইউএম/টিটি/এইচএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।