ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

কর্মসময় ৮ ঘণ্টা রাখতে বলছেন ওবায়দুল কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
কর্মসময় ৮ ঘণ্টা রাখতে বলছেন ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিচ্ছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের-ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা রাখার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১ মে) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি কারখানার মালিকদের উদ্দেশ্যে এ দাবি জানান। মহান মে দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

মন্ত্রী বলেন, আটঘণ্টা শ্রমের দাবিতে ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে রক্ত দিয়েছিল শ্রমিকরো। আমাদের সবাইকে সেই রক্ত দেওয়ার যে স্পিরিট, সেই স্পিরিট ধারণ করতে হবে। কাজেই মে দিবসে যারা মালিক ও যারা শ্রমিকদের কাজ করান তাদের প্রতি আহ্বান জানাবো, যেন এ আট ঘণ্টার সময় শ্রমিকদের জন্য কর্মঘণ্টা হিসেবে বেঁধে দেওয়া হয়।

যদি তা না হয়, এ মে দিবস করে লাভ কি? প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আজ-কাল বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, কল-কারখানায় দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা বিভিন্ন গৃহে কাজ করছে। যেটা অমানবিক। অতিরিক্ত কাজ করাতে গিয়ে এ শিশুদের ওপর নির্যাতনও করা হয়। এই শিশুশ্রম আমাদের দেশে বন্ধ করতে হবে। আজকের এই মে দিবসের এটাই হবে আমাদের অঙ্গীকার।

দেশের শ্রমিক সমাজের ওপর যে নির্যাতন হয় সে বিষয়টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের পাশে আছে থাকবে। পরিবহনের শ্রমিকরা আমার সঙ্গে কাজ করে, আমি তাদের কষ্ট বুঝি।

তিনি বলেন, রাস্তায় একটা দুর্ঘটনার জন্য অনেক সময় পরিবহন চালকদের দায়ী করি আমরা। বেপরোয়া গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার কারণ, কিন্তু চালক তখনই বেপরোয়া হয়, যখন তাকে অতিরিক্ত সময় গাড়ি চালাতে হয়। তাকে ৩টি-৪টি পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রিপ দিতে হয়। এর ফলে চালক মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

‘আমি অনুরোধ করবো, যেন শ্রমিকরা-চালকরা মাথা ঠাণ্ডা রেখে গাড়ি চালাতে পারেন, সেজন্য তাদের শ্রমঘণ্টা কমিয়ে ফলতে হবে। একইসঙ্গে কেউ যেন নেতার নামে চাঁদাবাজি করতে না পারে সে বিষয়ে সর্তক থাকতে কৃষক শ্রমিক লীগের প্রতি আহ্বান জানাই। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা বাড়ে। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারে, শ্রমজীবী মানুষের রক্ত ঝরে এদেশের মাটিতে।

তিনি বলেন, আমাদের আমলে দেশের কল-কারখানা, গামেন্টর্স শিল্প বৃদ্ধি পায়। শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাড়ে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কল-কারখানা বন্ধ করে মেহনতি মানুষকে বেকার করে।

বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের অবদান বেশি, তাদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। তাই আমাদের সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে সবসময় কাজ করবে।

 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭/আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা
এমএফআই/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।