ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘প্লিজ, আমাকে ভুল বুঝবেন না!’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
‘প্লিজ, আমাকে ভুল বুঝবেন না!’ ছবি: সুমন শেখ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘ন্যায় নীতির সাথে থাকলে অনেকের স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে। প্লিজ, তখন কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না।’

ঢাকা: ‘ন্যায় নীতির সাথে থাকলে অনেকের স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে। প্লিজ, তখন কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না।

’ নোয়াখালীবাসীর উদ্দেশে এভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরও বললেন, এ পদের খ্যাতির বিড়ম্বনা অনেক। পদ পাওয়ার পর অনেকের ভালোবাসা পাওয়ার সাথে সাথে অনেক আপন মানুষকেও হারিয়েছি। কারণ, ন্যায় ও নৈতিকতার সাথে আমি আপোষ করি না।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নোয়াখালী জেলা সমিতির উদ্যোগে ওবায়দুল কাদেরকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণসংবর্ধনা পাওয়ার মতো এত বড় কাজ আমি করিনি। পদ পাওয়ার পর এতদিন ধরে সংবর্ধনা, স্লোগান চলতে থাকলে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আমি অহংকারীও হয়ে যেতে পারি।

নোয়াখালীবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, নোয়খালীর সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা আমি করবো। তবে কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখার ক্ষমতা আমার নেই। আমি যে শুধু নোয়াখালীর মন্ত্রী নই, গোটা দেশের মন্ত্রী সে বিষয়টিও আপনাদের মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে আসা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, নোয়াখালীর কী কী সমস্যা তা আমি জানি। মায়ের কাছে মাসীর গল্প করার দরকার নেই। আপনারা একদিকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন অন্যদিকে দাবি করছেন- এটা তো বুঝলাম না।
 
নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৩শ’ ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই টাকা দিয়ে নোয়াখালীর বড় অংশের জলাবদ্ধতা ভরাট করা সম্ভব। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখানে নোয়াখালীর অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন। তারা যোগ্য লোক বলেই প্রধানমন্ত্রী তাদের সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।

নিজের জীবন সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে সাড়ে চার বছর জেল খেটেছি। আগে যখন নির্বাচন করতাম বার বার হেরে যেতাম। মা বলতেন, থাক বাবা। তোর আর এসবের মধ্যে যাওয়ার দরকার নেই। আমি মাকে বলতাম, রাজনীতি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মা। পেছালে চলবে না।

তিনি বলেন, ভদ্রতা, নম্রতা আমার পরিবারের কাছ থেকে শেখা আর রাজনৈতিক অনেক কিছুই শেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তার কাছ থেকে এখনও শিখি।

মন্ত্রী বলেন, আজ আমার ভালো লাগছে এই দেখে যে এখানে শুধু আমার দলের নয় অন্য দলের সম্মানিত ব্যক্তিরাও আমাকে সংবর্ধনা দিতে এসেছেন। তার মানে তারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসেন।

নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক  মো. শামসুল হক, আওয়ামী যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক সহ নোয়াখালীর প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
জেডএফ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।