ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সহসম্পাদক পদের দিকে তাকিয়ে অনেকে

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
সহসম্পাদক পদের দিকে তাকিয়ে অনেকে

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে (কেন্দ্রীয় কমিটি) স্থান না পেয়ে দলের তরুণ নেতারা এখন তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক পদের তালিকায় দিকে। এই তালিকায় স্থান করে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 

তবে এই সহসম্পাদক পদের তুলনায় এ পদে প্রত্যাশীদের সংখ্যা অনেক বেশি। মাত্র ৯৫টি পদের মধ্যে স্থান করে নিতে হাজারের বেশি প্রত্যাশী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই দলের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ধর্না দিতে শুরু করেছেন তারা।  

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, এবার কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক নিয়োগের বিষয়টি বিশেষ কোনো নেতার উপর দায়িত্ব দেওয়া হবে না। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন।  

বিগত কমিটিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক করা হয়েছিলো কয়েকশ’ জনকে। দফায় দফায় কয়েকশ’ সহ-সম্পাদক নিয়োগ দেওয়ায় তখন দলের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। আবার এই সহ সম্পাদক পদ পেয়ে অনেকেই এই পদের অপব্যবহার করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থে পদের প্রভাব খাটিয়ে নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগও ওঠে কারো কারো বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়গুলো অবগত হয়েছেন। আর এ কারণেই এবারে সহ-সম্পাদক পদে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেভাবেই যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদেরকে এই পদগুলোতে দায়িত্ব দেবেন বলে ওই সূত্রগুলো আরও জানায়।   

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের ১৯টি কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে অনধিক ৫ জন করে মোট ৯৫ জন সহসম্পাদক করার বিধান আছে। বিদায়ী কমিটিতে গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে ৫শ’ মতো সহসম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এবার সর্বোচ্চ এক শ’ সহসম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগেই ঘোষণা দিয়েছেন।  

গত ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সম্পাদকমণ্ডলীর প্রথম সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহ সম্পাদক এক শ’র বেশি করা হবে না। এক শ’র মধ্যে রাখা হবে।  

গত মাসে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির পদ বণ্টন করে তা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীতে ৩টি এবং সম্পাদকমণ্ডলীতে ৩টি পদ খালি রয়েছে। দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নেওয়ার জন্য অনেকেই নানা চেষ্টা তদবির করেছেন। সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন প্রত্যাশা করে আছেন সহসম্পাদক পদের দিকে।  

এ সহসম্পাদক পেতে যারা প্রত্যাশী এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই সব নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার আস্থাভাজন নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যে কোনো কর্মসূচিতে শত শত নেতাকর্মী ভীড় করছেন। এখানে যারা আসছেন এদের অনেকেই সহ-সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।

এ দিকে সহ-সম্পাদক হিসেবে যাদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, শাহ আলম, ইকবালুর রহিম, বাহাদুর বেপারী, ইসহাক আলী খান পান্না, অজয় কর খোকন, লিয়াকত শিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, শাহজাদা মহিউদ্দিন, মাহমুদুল হাসান রিপন, ইস্কান্দার মির্জা শামীম, মাহফুজুল হায়দার রোটন, সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, মোরশেদুজ্জামান সেলিম, আলমগীর হাসান, রাশেদুল মাহমুদ রাসেল, এ কে এম আজিম, বলরাম পোদ্দার, অসিত বরন বিশ্বাস, বদিউজ্জামান সোহাগ, শাখাওয়াত হোসেন শফিক, মাজহারুল ইসলাম মানিক, আরিফুজ্জামান টুটুল, খ ম হাসান কবির আরিফ।  

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬ 
এসকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।