ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

১৫ বছরে পর্যটন-এভিয়েশন শিল্পে সক্ষমতা বেড়েছে: ফারুক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
১৫ বছরে পর্যটন-এভিয়েশন শিল্পে সক্ষমতা বেড়েছে: ফারুক

ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে। এ সময়ে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে।

উন্নয়নের এই ধারাকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

পর্যটন মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহর নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে এবং আগামী ২৬ মার্চ তারিখে ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। পরবর্তীতে আরও নতুন রুট চালু করার জন্য নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোও ভালো করছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিমানবন্দর আধুনিকায়নের কাজ চলমান। এ বছরই অক্টোবরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় এ সীমায় চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভেতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা অপারেটিং থাকবে।

ফারুক আরও খান বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাজের কারণে ইতোমধ্যেই দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমরা বিদেশি পর্যটক বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। দেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে ‘পর্যটন মহা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। পুরাতন হয়ে যাওয়া বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনা সংস্কার এবং এর কলেবর বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখছে তা যাতে আরও বৃদ্ধি পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাই গণমাধ্যমের বন্ধুরা আমাদের অংশীজন হিসেবে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের সম্ভাবনাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরুক। তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। যেহেতু এই দুটি শিল্প টেকনিকেল সেজন্য এখানে যারা রিপোর্টিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন তাদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে। এতে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এই দুই শিল্পের টেকনিকেল বিষয়গুলো বুঝতে সহজ হবে এবং একই সাথে এই শিল্পে কর্মরত জনবলের সাথে তাদের সম্পর্ক গভীর হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহনের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, যুগ্ম সচিব মো. সাঈদ কুতুব, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।