ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে প্রবাসী শিশুদের যেমন খুশি তেমন সাজো।

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।

রোববার (১৭ মার্চ) টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জন্মোৎসব অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে আগত প্রবাসী বাংলাদেশি সব শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পাস্তবক অর্পণ করে।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই সমবেত কন্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।  

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন, শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিতো। আর তাই এই মহান নেতার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার ও বঙ্গবন্ধুর মতো মানবীয় গুণাবলী সম্পন্ন হয়ে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা এ আলোচনায় অংশ নেন।

এ সময় তারা জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।  

জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের কাছে বিতরণ করা জাপানী ভাষায় অনুদিত গ্রাফিক নভেল-১ ‘মুজিব’ বই’র ওপর কুইজ এবং ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ের ওপর যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণিল সাজে ও আনন্দঘন পরিবেশে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এরপরই শুরু হয় তাদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও র‍্যফেল ড্র আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত সব শিশুকেই উপহার দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে আরো আনন্দময় করতে আগত শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।   

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।