ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

মালাক্কার ঐতিহ্য রিকশা-ধাঁচের মজার বাহন 'বেচা'

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
মালাক্কার ঐতিহ্য রিকশা-ধাঁচের মজার বাহন 'বেচা' রিকশা-ধাঁচের তিন চাকার যান 'বেচা'। ছবি- এম জে ফেরদৌস

কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া থেকে: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অনেক আগেই স্থান করে নিয়েছে মালাক্কা। এই মালাক্কা 'মালাক্কা প্রণালী'। ব্যবসায়িক দিক থেকে মালয়েশিয়ার অন্যতম সেরা এই স্থানটি ইতিহাসে অনন্য। 

এই খালটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াকে ভাগ করা ছাড়াও  থাইল্যান্ডসহ আশেপাশের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

মালয়েশিয়ার একেবারে উত্তরাংশেরর এই খালটি সাগরের কোলঘেঁষা।

এই ‘পানি-পথ’ ধরেই ব্যবসায় সমৃদ্ধি অর্জন করেছে মালয়েশিয়া। পর্তুগীজদের কাছে বাণিজ্যের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ডাচ শাসনামলেরও নানা স্মৃতি বহন করছে এই প্রণালী।  

পর্তুগীজ আমলের নানা নিদর্শনের মধ্যে ইতিহাসের সংরক্ষণকারী জাদুঘর, ইসলাম ধর্মীয় জাদুঘর বহন করছে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্মারক। রয়েছে পর্তুগীজদের গোলাবারুদ রাখার দুর্গ।

এসব নিদর্শনের কারণে মালাক্কা মালয়েশিয়ার এক আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা;  যা দেশটির অধিবাসীদের কাছে ‘মেলাকা’ নামে পরিচিত।

নাম যা-ই হোক, সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা অব্দি এখানে ভিড় করেন হাজারো দর্শনার্থী। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা-অঞ্চল থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ঢল নামে এই মালাক্কা প্রণালী ঘিরে।  

আর দর্শনার্থীদের মনোযোগ কাড়তে উৎসাহের কমতি নেই মালয়দের। আপন ঐতিহ্যের দিকে ভিনদেশিদের মনোযোগ কাড়ার পাশাপাশি তাদের কাছে ব্যবসার দিকটিই মুখ্য। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের নানান দিক রেপ্লিকায় তুলে ধরে দেদারসে চলে তাদের বেচাকেনা।

যাত্রীর অপেক্ষায় 'বেচা' চালকেরা।  ছবি-এম জে ফেরদৌস

প্রণালী-ঘেঁষা বন্দরে জাদুঘরের পাশের রাস্তায় মিউজিক বাজিয়ে চলছে এক প্রকার থ্রি-হুইলার; অনেকটা আমাদের বাংলাদেশের রিকশার  আদলে তৈরি এই যানটি মূলত শিশুদের জন্যই। প্রজাপতি, ফুল কিংবা ঘরের নকশায় সাজানো বাহনটি অতি দেখতেও বেশ মনকাড়া।  শিশুদের পাশাপাশি খুশিমনে উঠছেন বুড়োরাও।

এই যানটির চালকদের একজনের নাম আয়ান। তিনি জানালেন বাহনটির নাম 'বেচা'। তিন চাকার বাহনকে তারা বলেন ‘বেচচা’।  সংক্ষেপে তা ‘বেচা’ নামেই পরিচিত ।

মালাক্কা প্রণালীর পাশে ঝংকার স্ট্রিট এলাকা ঘুরে আসতে সময় লাগে বড়জোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এর জন্যই ভাড়া গুনতে হয় ২৫ রিঙ্গিত।  

মালয়েশিয়ার নাগরিক আয়ান আরো জানালেন, প্রতিদিন বেশ ভালো আয় হয় তার। এই মালাক্কা প্রণালীর আশেপাশে দেড় থেকে দুইশ' 'বেচা' দর্শনার্থীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

অয়ান জানালেন, যানটি তৈরিতে খরচ পড়ে  ৫ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এমআইএই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।