ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেন

ফুকেট থেকে নয়ন ও উর্মি

ফাংঞ্জা'য় স্বর্ণে মোড়ানো বুদ্ধ

মাজেদুল নয়ন ও উর্মি মাহবুব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
ফাংঞ্জা'য় স্বর্ণে মোড়ানো বুদ্ধ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফুকেট থেকেঃ থাইল্যান্ডের ফুকেট শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে বানরের গুহা নামটি বেশ পরিচিত।

বানরের গুহার দেখা পেতে হলে ফুকেট  থেকে উত্তরে পাং নাগা শহরে যেতে হবে।

  আঁকাবাঁকা পাহাড়ের পথ বেয়ে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে বানরের গুহা দেখতে প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের ভিড় জমে। চোখে পড়ে পাহাড় আর সবুজের অপূর্ব দৃশ্য। দূর আকাশের দিকে তাকালেই চোখে পড়বে  পাহাড়-সবুজ-মেঘের মিতালী।

জেমস বন্ড দ্বীপে যাওয়ার ১০ কিলোমিটার আগেই এই বিখ্যাত গুহা ওয়াট থাম সুয়ান খুয়া যাকে সংক্ষেপে ওয়াট থামও বলা হয়। এখানে বানর রয়েছে প্রচুর। যারা পর্যটকদের সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠে।

গুহাটি ৪০ মিটার দীর্ঘ এবং ২০ মিটার চওড়া।

বানরের গুহার সীমানার মধ্যে শুরুতেই ঝুলানো সাইনবোর্ডে বানরকে খাবার দেয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা।

গুহার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই নজরে পড়বে বুদ্ধের বিশাল মূর্তি। তার সাথে বাড়তি পাওনা আকর্ষণীয় আলো। মোমের প্রজ্বলিত আলোয় বুদ্ধের মূর্তি যেন বাড়তি রূপ নিয়েছে। একটি নয়, একাধিক বুদ্ধ  মূর্তি রয়েছে বানরের গুহায়। তবে ১৫ মিটার দীর্ঘ স্বর্ণমোড়া ধ্যান মগ্ন শায়িত বুদ্ধের মূর্তিটিই এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয়।

বুদ্ধ দেবের মূর্তির সামনে আসন নেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। পর্যটকরা তাদের মনোবাসনা পূরণে প্রার্থনা করেন বুদ্ধ দেবের মূর্তির সামনে। বানরের গুহায় বুদ্ধের দর্শন পেতেই আসেন পর্যটকরা।

বুদ্ধদেবের মূর্তির পাশে রয়েছে আরো কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষুর মূর্তি। কথিত আছে, এই গুহায় বুদ্ধদেব দীর্ঘ সময় ধ্যান করেছিলেনন। পরে ১৬০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু মিলে এই গুহা তৈরির ব্যবস্থা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
ইউএম/এমএন/জেডএম

** ফুকেটের পাড়ে পাতং বিচ
** মানবপাচার ঠেকাতে হাইওয়েতে জোরালো তল্লাশি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।