ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেন

থাইল্যান্ড থেকে জেসমিন পাপড়ি

রেন্টে বাইক!

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
রেন্টে বাইক! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Jasmin_papri_1ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে: জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে ঢাকা শহরের রাস্তায় প্রতিদিনই বাড়ছে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যা। তবে ব্যাংককের রাস্তায় শুধু ব্যক্তিগত নয়, ভাড়ায়ও চলছে মোটরবাইক।



শহরের যানজট পেরিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে এ যানটির কোনো জুড়ি নেই।

ব্যাংকক শহরে স্থানীয় নাগরিক থেকে শুরু করে পর্যটকরাও তাই যাতায়াত করেন এই ভাড়ায় চলা বাইকে। যদিও বাস বা ট্যাক্সি থেকে ভাড়া একটু বেশি, তবে সবার আগে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন কমলা রঙের অ্যাপ্রোন পরা মোটরসাইকেল চালকরা।

শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মোড়ে মোড়ে দলবেঁধে অবস্থান করে বাইকগুলো। যাত্রীর ডাক পেয়েই এগিয়ে আসেন এর চালকরা। জ্যামের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তুলনামূলক দুর্দান্ত গতিতে মুহূর্তেই বাইক ছুটিয়ে নিয়ে চলেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, অল্প সময়ে বেশি স্থান ঘুরে দেখার জন্য অনেক পর্যটক মোটরবাইকের সাহায্য নেন।

ব্যক্তিগত মোটরবাইক চালকদের থেকে ভাড়ার চালকদের পার্থক্য বোঝাতে বিশেষ কমলা রঙের অ্যাপ্রোন পরার ব্যবস্থা রেখেছে থাই কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুটার আকৃতির এসব মোটরবাইকে একজনের বেশি যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভাড়ায় চালিত মোটরে চলাফেরা করছেন আরোহীরা। আছেন নারী চালকও।

এমবিকে সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে বাইক চালক জিং বাংলানিউজকে বলেন, ‘পিক আওয়ারের জ্যাম দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়। যে কারণে সঠিক সময়ে কোথাও পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। আকারে ছোট হওয়ায় জ্যামে পড়লেও ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে মোটরবাইক। ফলে ট্যাক্সি বা বাসের তুলনায় আমরাই দ্রুত চলাফেরা করতে পারি। আবার অনেক স্থান আছে বাস যায় না, ট্যাক্সি ঢুকতেও ঝামেলা হয়। সেসব স্থানে যেতে মোটরসাইকেলকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।

ভাড়া বেশি নেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘সবার আগে পৌঁছে দেওয়ার চার্জ হিসেবে এটা তো দিতেই পারেন’।
 
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস থেকে এসেছেন জনসন। এ নিয়ে তৃতীয়বার ব্যাংককে আসা তার। তিনি বললেন, ‘বাইকে করে খুব দ্রুতই চলাফেরা করছি। সময় সাশ্রয়ের কারণে অল্প সময়ে অনেক স্থানে বেড়াতে পারছি’।

গ্র্যান্ড প্যালেসে ভ্রমণের সময় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আগেরবার যখন পরিবার নিয়ে এসেছিলাম, তখন ট্যাক্সিতে বা বাসে চলাচল করেছি। তখনই এখানকার ভাড়ায় চলা বাইকগুলো নজর কেড়েছিল। কিন্তু সঙ্গী বেশি থাকায় সেবার ট্যাক্সিই ছিল সেরা অপশন। এবার একা এসেছি। স্কুটার ডিজাইনের এসব বাইকগুলোই যাতায়াতে বেশি ব্যবহার করছি। শুধু দুপুরের সময়টা রোদ থেকে বাঁচতে টাক্সিকে বেছে নিচ্ছি’।

তবে ইতালির পর্যটক সুলেমান জানান, এখানকার বড় সমস্যা, থাই’রা ইংরেজিতে খুব দুর্বল। সে কারণে শুধু হোটেল, ট্যুরিস্টস্পট, শপিংমলগুলোর নাম বললে তারা সেখানে নিয়ে যেতে পারেন।

সুলেমান বলেন, ‘কোনো পরামর্শ করার সুযোগ নেই। বোঝানোই যায় না, আমি কি বলছি। এজন্য একবারই মোটরবাইকে উঠেছি। ট্যাক্সিতেই বেশি চলাফেরা করছি’।

তবে যারা একাধিকবার ব্যাংককে এসেছেন, স্থানগুলো চেনেন, ভাড়া সম্পর্কে ধারণা আছে, সেসব পর্যটকরাই বাইক বেশি ব্যবহার করেন। নয়তো ক্ষেত্রবিশেষে ট্যাক্সির ভাড়ার চেয়ে বাইকে অনেক বেশি ভাড়া গুণতে হয়। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরামর্শ দিলেন মিটারে ট্যাক্সিতে চলাফেরা করার।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
জেপি/এএসআর

** গাড়ির হর্নবিহীন শহর
** সময়ানুবর্তী রিজেন্ট এয়ার
** কলম দেখলেই এগিয়ে আসেন তারা!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।