ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কুয়েত

এমআরপি

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দৃষ্টান্ত

মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, কুয়েত থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দৃষ্টান্ত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুয়েত সিটি (কুয়েত): বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এখনও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দিতে পারেনি!  তবে এরমধ্যে ভালো খবর দিচ্ছে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবল সঙ্কটসহ নানা সমস্যা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রায় সব প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে এমআরপি দেওয়া হয়েছে।

যা একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েত। এখানে রয়েছে প্রায় দুই ল‍াখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশের রেমিটেন্সের বড় একটি অংশে অবদান রেখে চলেছেন।


দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানায়, কুয়েতে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীদের হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ দূতাবাস। এরপর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৪১ হাজার প্রবাসীর এমআরপি সম্পন্ন হয়েছে।

আর বিভিন্ন সময়ে দেশে ছুটি কাটাতে গিয়ে প্রায় ৪০হাজার প্রবাসী তাদের এমআরপি সম্পন্ন করেছেন।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এমআরপি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করেছি। দূতাবাসে জনবল সঙ্কট রয়েছে। এরপরও দূতাবাসের অল্পসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচেষ্টায় এ কাজ করা সম্ভব হয়েছে। ’

এদিকে ঘোষিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের পর থেকে বিশ্বের কোথাও হাতে লেখা পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এমআরপি প্রকল্প চালুর পর এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ১০০ পাসপোর্ট প্রবাসীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। এছ‍াড়া আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী দেশেই এমআরপি করেছেন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এমআরপি সংগ্রহ করতে কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা, কোম্পানি ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চল ওয়াফরা, আবদালিতে লিফলেট বিতরণ এবং সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন কমিউনিটির নেতারা।

এমআরপি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মুন্সীগঞ্জের দিদার মোল্লা। তিনি কুয়েতের জালজালাহ এলাকায় একটি কোম্পানিতে ফোরমেন হিসেবে কাজ করছেন।

দিদার মোল্লা বলেন, আমি দেশে ছুটিতে থাকা অবস্থায় এমআরপি করতে মুন্সীগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম। অথচ আমার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা দূতাবাস থেকে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই এমআরপিতে রূপান্তর করতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।