ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

লন্ডন

বঙ্গবন্ধু দু’বার দেশ স্বাধীন করেছেন

সৈয়দ আনাস পাশা, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
বঙ্গবন্ধু দু’বার দেশ স্বাধীন করেছেন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লন্ডন: প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর অনেক নেতাই স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশ একবার করে স্বাধীন করেছেন। কিন্তু বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই একমাত্র ব্যতিক্রম, যিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন দুইবার।

১৯৭১ সালে একবার ও ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি আরেকবার।

শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রীয় লন্ডনের বাডেন পাওয়েল হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাইকমিশনার আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ব্রিটিশ এমপি মাইকেল বার্ন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ প্রমুখ।

গাফফার চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের পুরো সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থেকেও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কারণ রণাঙ্গনে শত্রুর মোকাবেলায় তিনিই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফেরার পর মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় মিত্র ভারতীয় বাহিনী অতি সত্ত্বর প্রত্যাহার করার সাহসী আহ্বানই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর কাছে তার দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থই ছিলো সবচেয়ে বড়। এই স্বার্থের প্রশ্নে নিজের পরম মিত্র কোনো শক্তির সঙ্গেও আপোষ করতেন না বঙ্গবন্ধু।

সাবেক ব্রিটিশ এমপি মাইকেল বার্ন ৭২ এর সংবিধানে সন্নিবেশিত বঙ্গবন্ধুর দর্শন চার মূলনীতির প্রশংসা করে বলেন, যেকোনো সদ্য স্বাধীন দেশের জন্যই এই মূলনীতি অনেকটা অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।

সেকুলারিজম সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর ব্যাখ্যা অভূতপূর্ব এমন মন্তব্য করে মাইক্যাল বার্ন বলেন,  বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ধর্মবিশ্বাসী মানুষ অধ্যুষিত দেশগুলোর জন্য বঙ্গবন্ধুর এই সেকুলারিজম সংজ্ঞা যে কতটুকু উপযোগী ছিল তা সময়ই এখন বলে দিচ্ছে।

হাইকমিশনার আব্দুল হান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা বাংলাদেশ নামক দেশটির একজন গর্বিত হাইকমিশনার আমি, এটি আমার অন্যতম পাওয়া। অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, খুনিরা জানে না যে বঙ্গবন্ধু বাঙালির অস্থিত্বের সাথে মিশে আছেন। তাকে হত্যা করলেও তার আদর্শ হত্যা করা সম্ভব নয়।

আলোচনা সভা শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে  শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক দিবসের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে একটি অংশ পাঠ করে শোনান হাইকমিশনের মিনিস্টার প্রেস নাদিম কাদির।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।