ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরে মাছের মড়ক, বিপাকে মাছ চাষীরা

আনোয়ার হোসেন, সিঙ্গাপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫
সিঙ্গাপুরে মাছের মড়ক, বিপাকে মাছ চাষীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি মাছের খামারে বিপুল পরিমাণ মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার খামার মালিকরা।



সিঙ্গাপুরের কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে খালে এবং বিভিন্ন খামারে ৬শ’ টনের বেশি মাছ মরে গেছে।  

বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘প্ল্যাঙ্কটন ব্লুম’ নামে এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেখানে মাছ মরে যাচ্ছে। ‘প্ল্যাঙ্কটন ব্লুম’ এর কারণে ক্ষুদ্র শ্যা‍ওলা আর জীবাণুর সংমিশ্রণে পানির উপরিভাগ আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর সাগরে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়।

সাধারণত খালের পানিতে বা ব্যক্তিগত মাছের খামারে এই সংক্রমণ দেখা না গেলেও সম্প্রতি মরা মাছগুলোতে এই রোগের লক্ষণ দেখা গেছে।

সিঙ্গাপুরে এই মড়কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী জোহর বাহরুর কাছের মাছের খামারগুলো। এ এলাকার ৬৩টি খামারের মধ্যে ৫৫টি খামারের সব মাছ মরে গেছে এই রোগে।

লিম চু কাং এর ক্ষতিগ্রস্ত এক খামার মালিক বাংলানিউজকে জানান, রাতে পুকুরে অস্বাভাবিক শব্দ শুনে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার পুকুরের মাছগুলো অস্থিরভাবে লাফালাফি করছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার পুরো পুকুর শান্ত হয়ে যায়। তাই বিষয়টি তিনি আর গুরুত্বপূর্ণ মনে না করে ঘুমিয়ে পড়েন।

তবে, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাইরে এলে তার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। তিনি দেখেন, পুকুর জুড়ে মরা মাছের স্তুপ। মরা মাছগুলোতে লালচে ক্ষত চিহ্ন ছিল।  

প্রায় একই অভিজ্ঞতার কথা জানান আরও কয়েকজন খামার মালিক।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা এই বিপর্যয় থেকে অন্যান্য মাছের খামারগুলো রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এরপরেও থামানো যাচ্ছেনা মাছের মড়ক।

কার্যকর ও স্থায়ী কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার কারতে না পারলে ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুরে মাছের চাষ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন সেখানকার খামার মালিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।