ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

ভিয়েনায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪
ভিয়েনায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন ছবি: সংগৃহীত

ভিয়েনা: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে নব স্থাপিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনা।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার পার্ক হোটেলের দূতাবাস কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।

উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব ও চ্যান্সারি প্রধান শাবাব বিন আহমেদ।

১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংরাদেশি কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিজয় দিবসের কেক কাটেন।

বঙ্গবন্ধু এক মহান নেতা- শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনার অনারারি কাউন্সেলার কমার এরনস্ট গ্রাফট, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, বাংলাদেশ-অস্ট্রিয়া সমিতির সভাপতি নেয়ামুল বশির, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম, মনিকা বেগ, শাহ মো: ফরহাদ, রবিন মো: আলী, সাইফুল ইসলাম জসিম, এমরান হোসেন, নয়ন হোসেন ও বকতিয়ার রানা।

রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর তার বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসের এই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সমবেত সুধীজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি স্বাধীনতা লাভে বাঙালির আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে এযাবৎ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রবাসে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর প্রচণ্ড চাপ, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে একাত্তরের বিজয় বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তিদানে শেখ হাসিনার সরকার অটল রয়েছেন।

তিনি বলেন, সব মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ ও রায় কার্যকর করে আগামী বছর বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকীতে আমরা মহাউৎসব করব।

অনুষ্ঠানে প্রত্যেক বক্তা ভিয়েনায় দূতাবাস স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।  

বিজয় দিবসের কেক কাটার পর দেশের সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ড. ফারুক আল মাদানী।

বাংলাদেশ সময় : ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad