ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

কুয়ালালামপুর ইনভেস্টমেন্ট মেলায় শাপলা সিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৪
কুয়ালালামপুর ইনভেস্টমেন্ট মেলায় শাপলা সিটি

ঢাকা: আগামী ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রেমিটেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট মেলায় অংশ নিচ্ছে শাপলা সিটি লিমিটেড। মারদেকা স্কয়ারের এ মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সাধ্যের মধ্যে স্বপ্নের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে অংশ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।


 
শাপলা সিটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. বদরুদ্দোজা বাংলানিউজকে বলেন, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসীরা জীবনের একটি বড় অংশ ব্যয় করেন প্রবাসে। অর্থ উপার্জনের ব্যস্ততায় কাটিয়ে দেন অনেক সময়। তবে দেশে ফেরার পর বেশিরভাগ সময়েই কিছু করতে পারেন না। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার সারাজীবন অর্থ উপার্জন করলেও শেষ কালে এসে দেখা যায়, প্রাপ্তির যোগফল শূন্য।
 
মেলায় প্রতিষ্ঠানটির আকর্ষণীয় অফার সর্ম্পকে তিনি বলেন, আমরা দিচ্ছি ১২ লাখ টাকায় ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ার সুবিধা। ৫ বছরে এ টাকা বিনিয়োগ করে ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে যেতে পারবেন গ্রাহকরা। যে ধরনের ফ্ল্যাটে মানুষ ভাড়া থাকছেন, সে ফ্ল্যাটেরই মালিক হচ্ছেন প্রতিমাসে ৯ হাজার টাকা জমা করে। এটা প্রবাসীদের জন্যে সবচেয়ে ভালো অফার।
 
শাপলা সিটির এ প্রকল্প মান্ডার আইডিয়াল সিটির অবস্থান মুগদা মান্ডা রোডে। কোম্পানির নিজ জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের সামনে ৪০ ফিট এবং পেছনে ২৫ ফিট প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে।
 
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হবে ২০১৭ সালে। ভবনগুলো নীচতলার পার্কিংসহ ১৩ তলা হবে। ১২ কাঠা প্লটে ৮ ইউনিট করে মোট ইউনিট থাকবে ৯৬টি।
 
মাত্র ১০ হাজার টাকায় বুকিং দিয়েই প্রবাসীরা নিজেদের স্বপ্ন গড়ে তুলতে পারেন শাপলা সিটিতে। আর মেলায় আসলে জানা যাবে আরও বিস্তারিত।
 
প্রবাসীরা যেন সঠিক খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন, সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন বদরুদ্দোজা।

তিনি বলেন, দেশে অর্থ পাঠিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করলেও পরিকল্পনা থাকে না প্রবাসীদের। তাই থাকে না সঞ্চয়। আবার হয়তো অনেকে ব্যাংকেই শুধু অর্থ জমা করেন।
 
তিনি বলেন, আমাদের অনেক প্রবাসী রয়েছেন, যাদের পরিবার ঢাকায় বাসা ভাড়া করে থাকছেন। দেখা গেছে বছরের পর বছর বিদেশি অর্থে বিলাসবহুল বাসা ভাড়া করে থাকছে পরিবারটি। কিন্তু উপার্জনকারী লোকটি যখন দেশে ফিরছেন, তখন দেখা যাচ্ছে ওই ভাড়া বাসাতেই থাকছেন। এক সময় বাসা ভাড়া পরিশোধেরও অবস্থা নেই। কারণ ব্যাংকের জমানো অর্থও এক সময় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, অথচ একটি প্লট বা ফ্ল্যাট নিয়ে উপযুক্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। দেশে আসার পর নিজের একটি সম্পদ হিসেবে থাকবে সেটি। আর থাকার জন্যে চিন্তা করতে হবে না। এটা হতে পারে প্রবাসীদের জন্যে নিশ্চিন্ত বিনিয়োগ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।