ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

কুয়ালালামপুরে থাকতে হোটেল সাফারি

মাজেদুল নয়ন ও সাজেদা সুইটি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৪
কুয়ালালামপুরে থাকতে হোটেল সাফারি ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুয়ালালামপুর থেকে: ঢাকা থেকে ট্যুরিস্টরা কুয়ালালামপুরে এসে অনেকেই বুকিত বিনতাং এবং আশপাশের হোটেলগুলোতে ওঠেন। তবে বুকিত বিনতাংয়ের চেয়ে আমপাং হোটেল থাকলে মালয়েশিয়ার যে কোনো স্থানে যাওয়া সহজ হয়।


 
আমপাং থেকে বাস বা এলআরটি’তে যাওয়া যায় পুরো মালয়েশিয়াতেই। আর এটাই এখানকার অভিজাত এলাকা। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাসও এখানে।
 
তবে বাংলাদেশি ট্যুরিস্টদের মতো আমরাও ওঠেছি হোটেল বুকিত বিনতাংয়ে। অষ্ট্রেলিয়ার সিডনী প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় গত অক্টোবর থেকেই। উনি বললেন, আমপাংয়ে একটা ভালো বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোটেল রয়েছে, নাম ‘সাফারি’। ঘুরে আসবেন আপনারাও।
 
তার মাধ্যমেই পরিচয় মো. দুলাল মিঞা রনি’র সঙ্গে। রনি ভাই আন্তরিক লোক। মিষ্টি হেসে কথা বলেন। উনার গাড়িতে করেই নিয়ে গেলেন সাফারিতে।
 
গত অক্টোবরে বুকিত বিনতাংয়ের রেডিয়াসে ছিলাম। তবে রনি ভাইদের সাফারি দেখার পর মনে হলো, রেডিয়াসের যা নামই থাকুক না কেনো, সাফারি অনেক বেশি রুচিসম্মত। রুমের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই রয়েছে মননশীলতার ছোঁয়া।
 
রনি ভাই নিজেই এ হোটেলের একজন শেয়ার হোল্ডার। পরিচয় করিয়ে দিলেন অন্য দুই শেয়ার হোল্ডার মোতাহার হোসেন ও আব্দুল হামিদের সঙ্গে। আরেক জন পার্টনার রয়েছেন, ফোরকান সুমন। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কাজে কাজে দূরে রয়েছেন, তাই উনার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়নি।
 
এখানকার ডিলাক্স রুমগুলো বেশ বড়। আর সিঙ্গেল হিসেবে যে রুমগুলো দেখালেন, সে বিছানায় অনায়াসেই তিনজনও থাকতে পারবেন। রয়েছে ডাবল এমনকি ট্রিপল বেডের রুমও। সাফারি পুরোটাতেই সেন্ট্রাল এসি।
 
সাফারি’র পর দেখালেন সাফারি-২। ব্যবসাসফল এই চার বন্ধু গত বছরের ডিসেম্বরে চালু করেন সাফারি-২। লিফট রয়েছে দুটোতেই। আর লবিতে ঘুরে বেড়ানোর মতো প্রসস্ত জায়গাও রয়েছে।
 
রনি ভাই’র বাড়ি দিনাজপুর, মোতাহার ভাইয়ের জামালপুর, মানিক ভাইয়ের কুমিল্লা আর ফোরকান ভাইয়ের নোয়াখালী। চার জেলার চারজন একসঙ্গে বাংলাদেশেও মেশাটা দুরুহ। তবে এই সুদূর মালয়েশিয়াতে চারজন মিলেই ২০১১’তে যাত্রা শুরু করেছিলেন সাফারির।
 
রনি ভাই বলেন, এখানে আশেপাশে অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা খোঁজ-খবর নিতে আসলে এখানেই উঠেন।
 
এতো ব্যবসা থাকা সত্ত্বেও হোটেল কেন? জানতে চাইলে তিনজনের উত্তরই এক। বলেন, নিজেরা ট্যুরিস্ট হিসেবে এখানে এসে কষ্ট পেয়েছি। বাংলাদেশিদের একটি হোটেল খুজেঁছি ভাল, তবে পাইনি।
 
বুকিত বিনতাং বা অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোটেলগুলোর বেশিরভাগই বাজেট হোটেল। সে তুলনায় সাফারি বেশ আলাদা, এটা কিন্তু বাজেট নয়। এটা বাংলাদেশের অভিজাত্যকে প্রকাশ করে কুয়ালালামপুরে। তবে বাংলাদেশিদের জন্যে এখানকার রেট’টা কিন্তু বাজেট হোটেলের মতো।
 
মানিক ভাই বলেন, বাংলাদেশিদের জন্যে আমরা অনেক ছাড় দেই। চাই দেশের মানুষ এখানে একটু ভাল করেই থাকুক।
 
রনি ভাই যোগ করে বলেন, দেশ থেকে আমাদের দূতাবাসে যারা আসেন, তাদের অনেকেই উঠেন আমাদের এখানে।
 
সাফারির এয়ারকন্ডিশন্ড রুমগুলোর সঙ্গে রয়েছে বাথরুম। গরম এবং ঠান্ডা পানির ব্যাবস্থা। এখানে কিন্তু হোটেলগুলোতে টেলিভিশনের স্যাটেলাইট চ্যানেল থাকে খুব কম। তবে সাফারিতে পাওয়া যাবে স্যাটেলাইট চ্যানেল। আয়রন রুম, ম্যাসেজ চেয়ারও রয়েছে। আর ভিসা, মাস্টার আর ডেভিট কার্ডেও বিল প্রদানের সুবিধা রয়েছে। রয়েছে প্রশস্ত করিডোর।
 
রনি ভাই বললেন, এখানে বাংলাদেশিদের জন্যে ১০০ থেকে ১৪০ রিঙ্গিতের মধ্যেই আমরা বিভিন্ন রুম দিয়ে দেই। যেগুলো অন্য দেশিদের জন্যে অনেক বেশি।
 
সাফারি আমপাং পয়েন্টের সঙ্গেই। কেএলসিসি থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ আর বুকিত বিনতাং থেকে ২০ মিনিটের।
 
http://www.hotelsafarikl.com/index.php/en/ এবং http://hotelsafariampang.com/ ওয়েসসাইটে প্রবেশ করে ‍দেখে নিতে পারেন হোটেল সাফারি। অনলাইনে বা ফোনেও রয়েছে বুকিং সুবিধা।
 








বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।