আঙ্গোরপোতা-দহগ্রামের মানুষের দু:খ আজও ঘোচেনি

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ০৫:৫০, জুন ২৫, ২০১০

লালমনিরহাট: আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম ছিটমহল মুক্ত দিবস কাল। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ১৯৯২ সালের এই দিনে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল পায় বাংলাদেশ। যদিও চুক্তি মোতাবেক ছিটমহলে যাতায়াতের সুবিধার্থে ২৪ ঘন্টা করিডোর খোলা রাখা, তিন বিঘার স্বার্বভৌমত্ব, জমির রেকর্ডপত্র ফেরত দেওয়ার শর্তসহ অনেক শর্তই বাস্তবায়িত হয়নি।

উপরন্তু ২০০৯ সালের মাঝামাঝি থেকে তিনবিঘা করিডোরের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্তে বিএসএফ একতরফাভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এতে  ছিটমহলটির প্রায় ২০হাজার মানুষ আতংকিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

২৬ জুন তিনবিঘা করিডোর হস্তান্তর দিবসটিকে দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলবাসী মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। এবার তারা ছিটমহলের বঙ্গেরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
এছাড়াও সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন তারা। দাবির মধ্যে রয়েছে চুক্তি বাস্তবায়ন, ছিটমহলে স্থাপিত হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু , আরও বিডিআর ক্যাম্প স্থাপন, কলেজ প্রতিষ্ঠা, তিস্তা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার ভারতকে বাৎসরিক এক টাকা খাজনা কর দেওয়ার সম্মতিতে ৯৯ বছরের জন্য তিনবিঘা করিডোর লিজ নেয়। ওই বছরের ২৬ জুন খুলে দেওয়া হয় তিনবিঘা করিডোর। সম্প্রতি এ কর আড়াই টাকা করা হয়েছে।

চুক্তি মোতাবেক ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে করিডোর। দৈর্ঘ্যে ১৭৮ মিটার ও  প্রস্থে ৮৫ মিটার ‘তিনবিঘা’ নামক জমি লিজ দেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকে এখনও প্রস্থে মাত্র ৮ ফুট পাকা রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। শর্ত অনুযায়ী করিডোরের ভেতর দু’পক্ষ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু বিএসএফ করিডোরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি চেকপোস্ট নির্মাণ করেছে। করিডোরের নিয়ন্ত্রণ বিডিআরের হাতে থাকার কথা থাকলেও মানছে না ভারত।

এ পরিপ্রেক্ষিতে দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলবাসী ১৯৭৪ এর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন।

দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম প্রামাণিক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে অভিযোগ করে বলেন, ২৪ ঘন্টা করিডোর খুলে দেওয়ার পরিবর্তে বিএসএফ জিরো লাইনের ভেতর দিয়ে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে। তিনি ছিটমহলের ভেতর আরও দু’টি বিডিআর ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান।

বাংলাদেশের স্থানীয় সময়:১৫১৬ঘণ্টা, জুন ২৫’ ২০১০
প্রতিনিধি/এনএস/জেএম


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান