বাঁধের পাশে মাতাল করা আগুন কৃষ্ণচূড়া!

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৬:৫০, মে ৭, ২০২২

ভোলা: প্রকৃতিকে যেন নতুন করে সাজাতে মেতে ওঠেছে কৃষ্ণচূড়া। গাছে গাছে সবুজ ঝিরিঝিরি পাতার ফাঁকে উঁকি মারছে লাল কৃষ্ণচূড়া। এই সৌন্দর্য মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীদের। 

গ্রাম বাংলার অপরূপ প্রতিচ্ছবিকে আরও নতুন করে রূপে সাজিয়ে দিচ্ছে এই কৃষ্ণচূড়া ফুল। 

ভোলার লালমোহনের প্রত্যন্ত এলাকায় এমনি দুটি কৃষ্ণচূড়া গাছ বাঁধের পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। উপকূলীয় এলাকা ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধলিগৌরনগর গ্রামের কালাম মাস্টার বাড়ি ও চৌকিদার বাড়িতে গাছ দুটি রোপণ করেন ওই বাড়ির গৃহিনী শাহিনুর বেগম।

বাঁধের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ দুটি আপন মনে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। আর সেই ফুলে মুগ্ধ হচ্ছে ক্লান্ত পথিক। দূর থেকে বা খুব কাছ থেকে নির্মল বাতাসে দাঁড়িয়ে গাছের এমন সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। তবে এলাকাটি উপজেলা সদর থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় এখনো প্রকৃতিপ্রেমীদের খুব একটা নজরে আসেনি। তাই বলা চলে অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে গাছগুলো।
 
স্থানীয়রা জানালেন, এ গ্রামে শহরের মানুষের আনাগোনা খুবই কম। তবে যারা আসছেন তারা গাছের কাছে ছুটে আসেন। ছবি তুলে নিয়ে যান। এমন সৌন্দর্য দেখতে কেউ ভুল করেন না।

প্রচণ্ড তাপদাহের মাঝে প্রকৃতি যেন নিজেও তার প্রাণ ফিরে পায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্যে। উষ্ণ আবহাওয়ায় দৃষ্টি ও মনকে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের কোনো জুড়ি নেই। কৃষ্ণচূড়া আসে মানব মনে শীতল পরশ বোলাতে, ক্লান্তি দূর করে নব উদ্যমে জাগিয়ে তুলতে। তাই তো কৃষ্ণচূড়ার সঙ্গে অন্য গাছের তুলনা হয় না। প্রকৃতিকে এক অন্য রূপে সাজিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ৮ বছর আগে চট্টগ্রামের পার্বত্যাঞ্চল থেকে বীজ এনে গাছটি রোপণ করেন শাহিনুর বেগম। গত দুই বছর ধরে গাছে ফুল আসছে। যা মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।

শাহিনুর বেগমের স্বামী আহম্মদ আলী বলেন, গাছগুলো ফুল ফোটার পরে এভাবে সৌন্দর্য ছড়াবে তা বুঝতে পারিনি। মাঝে মধ্যে এখানে অনেকেই ঘুরতে আসেন। সবার কাছেই ভালো লাগছে।

ঘুরতে আসা মনজুর রহমান বলেন, বাঁধের ওপর দিয়ে যখন হাঁটছিলাম। তখন দূর থেকে নজরে পড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছ। কাছে গিয়ে ছবি তুলেছি, আমার অনেক ভালো লেগেছে।

এলাকার বাসিন্দা অজিউল্ল্যা, নুরুল ইসলাম ও মো. শাহিন বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো সত্যি অনেক সুন্দর। সবুজ পাতা আর লাল ফুল সৌন্দর্য ছড়িয়ে মুগ্ধ করছে মানুষদের। গাছ দুটি রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২২
আরএ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান