ঢাকা: সন্ত্রাসীদের গুলিতে গোলাপবাগ এলাকায় নিহত কালা মামুন ব্যবসায়ী নয়, তিনি ছিলেন যাত্রাবাড়ি থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি, সবুজবাগ, সূত্রাপুর ও মতিঝিল থানায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, হুমকি প্রদান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
কালা মামুন অস্ত্র আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে বের হন।
তার পরিবারের সদস্য ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, কমলাপুরের মাদক সম্রাট হিসেবে খ্যাত নাসির গ্রুপের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কালা মামুন গ্রুপের ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব ছিল।
পুলিশের ধারণা, নাসির গ্রুপের পেশাদার কিলার হিসেবে চিহ্নিত সজিব ও তার সাঙ্গপাঙ্গরাই মামুনকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গোলাপবাগের বালুর মাঠ এলাকার হেরোইন বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বখরা আদায় করাকে কেন্দ্র করে টেপা মনির প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে দাড়ি আনসার গ্রুপের সঙ্গে। এই হত্যার সঙ্গে টেপা মনির গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
মঙ্গলবার কালা মানুনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গোলাপবাগ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে স্থানীয় কবরস্তানে তার লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে কালা মামুন হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গোলাপবাগ, ধলপুর, মানিকনগর ও গোপীবাগ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
যাত্রাবাড়ি থানার অপারেশন অফিসার মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মা বদরুন্নেসা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলায় দিলুমুদ্দিন, সাহাজুদ্দিন, আলাউদ্দিন, মো. সাজু, সজীব, কফিলউদ্দিন ও টাক্কু মিজানের নামোল্লেখ করে মোট ১৪ জনেকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ আলাউদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহত কালা মামুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গেই চলাফেরা করতেন। দলীয় কোন্দলেই তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন।
আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০