
ডুবে যাওয়া পানের বরজ, মেশিনে সেচ দিয়ে বরজ রক্ষার চেষ্টা
বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উত্তরের নদ-নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে ডুবে যাচ্ছে পানের বরজ। বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ২২৫ হেক্টর জমিতে পান চাষের সাথে ২ হাজারের মতো পরিবার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই ব্যবসার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন আরো হাজারো পরিবার।
বরিশাল অঞ্চলে বেশি পানি না হওয়ায় কৃষি জমির থেকে অপেক্ষাকৃত সামান্য উঁচু জমিতে পান চাষ করা হয়। কিন্তু কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ, উজানের পানির কারণে এ অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিচু জমির পান বরজগুলো পানিতে ডুবে পানের লতা মরে গিয়ে পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়। ওই ইউনিয়নের বাশাইল, রাজিহার, রাংতা, কান্দিরপাড়, রামের বাজার এলাকায় সবেচেয়ে বেশি পান বরজের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও বাকাল ইউনিয়নেও পান বরজ তলিয়ে যাচ্ছে। পানের লতার গোড়ায় একবার পানি জমলে লতাগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে মরে যায়। তাই পান বরজের চারদিকে বাঁধ দিয়ে মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে চাষিদের পান বরজ রক্ষার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অফিস।
এদিকে বর্তমানে পানের বাজার মূল্য কম থাকায় হাট বাজারেও পান বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। নিজেদের শেষ সম্বল পান বরজ রক্ষায় মাটি ও পলিথিন ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে পান বরজ রক্ষায় দিন-রাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিরা সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
এমএস/এমজেএফ