
ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে করা বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এ রায় দেন।
আদালতে জামায়াত নেতাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিলে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পৃথক আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অব্যশই আপিল করবো।’
অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ রুলের উপর তিনদিনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে নিজামী-মুজাহিদের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। এ কারণে নিম্ন আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনও বাধা নেই।’
২০০৮ সালে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলা বাতিলে নিজামী ও মুজাহিদ হাইকোর্টে আবেদন করেন।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই সালের ১২ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিজামী-মুজাহিদকে জামিন দিয়ে মামলা কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
একইসঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ওই লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে রুলের শুনানি করতে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ অনযায়ী হাইকোর্ট বুধবার এ রায় দেন।
প্রসঙ্গত, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।
একই সালের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪,২০১১