চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে পে-অর্ডার ইস্যুর পরিবর্তে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ২০ লাখ টাকা নগদ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদের বনানী শাখার পে অর্ডার সেকশনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্যারাগন ফ্লাস্ট ফাইবার নামে ঢাকার এক প্রতিষ্ঠানের মনোনীত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান আগ্রাবাদের সাখাওয়াত এন্টারপ্রাইজের হিসাবরক্ষক আমদানিকৃত পণ্যের অনুকূলে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধের জন্য পে অর্ডার ইস্যু করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
সাখাওয়াত এন্টারপ্রাইজের হিসাবরক্ষক প্রিতাপ চন্দ্র দাশ ঘটনার বর্ননা দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ২০ লাখ ৩৪১ টাকার পে অর্ডার ইস্যু করার জন্য নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে চেকসহ সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেবিট করতে জমা দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, পে অর্ডার ফরমে নাম্বার দেয়ার পর চেকটি প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে ডেবিট করে পে অর্ডার ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে সিরিয়াল পড়ায় তিনি পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর তিন মিনিটের মাথায় সেখানে গিয়ে তিনি পে অর্ডার চাইলে ওই শাখার কর্মকর্তা খোরশেদুল আলম জানান, সেটি ক্যাশ কাউন্টারে গেছে এবং এক ব্যক্তি ক্যাশ করে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এসময় তাকে পে অর্ডার ইস্যু না করে অপরিচিত ব্যক্তিকে ২০ লাখ টাকা কিভাবে দেওয়া হলো সে প্রশ্ন করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বলে তিনি জানান।
সাখাওয়াত এন্টাপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ শামীমের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সন্দেহজনক। সাধারণত ব্যাংকে এক থেকে ২ লাখ টাকা তোলার জন্য গেলেও একাউন্ট মালিকের কাছে ফোন করে যাচাই করা হয় । আর এক্ষেত্রে পে-অর্ডারের চেকের বিপরীতে একাউন্ট মালিককে জিজ্ঞাসা না করে কিভাবে বড় অঙ্কের টাকা ইস্যু করা হলো সেটি রহস্যজনক। এ ঘটনার পর পে-অর্ডার ইস্যু না করে ব্যাংকের কর্মকর্তারা সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছেন বলে জানান।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, সাখওয়াত এন্টারপ্রাইজের পে অর্ডারে বিপরীতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ২০ লাখ টাকা নগদ দেয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটি।
ঘটনা তদন্তে আমরা ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি। বর্তমানে এ ব্যাপারে সমঝোতার জন্য কর্তৃপক্ষ সাখাওয়াত এন্টারপ্রাইজের সাথে বৈঠক করেছেন।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১