শেবাচিমে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ১৮ রোগী অসুস্থ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ০৮:০৩, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল

বরিশাল: বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ১৮ জন রোগী একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটলে রোগীসহ স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের হস্তক্ষেপে অল্প সময়ের মধ্যেই রোগীরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। পাশাপাশি এ ঘটনার পরপরই একই ব্যাচ নম্বরের সব সেফিউরক্সিম ইনজেকশন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হাসপাতাল প্রশাসন।

হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে নির্ধারিত সময়ে ওয়ার্ডের ৯৪ জন (মোট ৯৪ ওয়ার্ডের) রোগীর মধ্যে ২১ জন রোগীকে হাসপাতালে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত সেফিউরক্সিম ইনজেক্শন (৭৫০ মিলি), অমিটিড ইনজেক্শন (৪০ মিলি)সহ ব্যাথানাশক ইনজেক্শন দেওয়া হয়। ইনজেক্শন দেওয়ার কিছু সময় পরেই আকস্মিকভাবে কুদ্দুস, ইমতিয়াজ, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, অলিয়ার, এনামুলহকসহ ১৮-২০ জনের মতো রোগী ঝাকুনি/কাপুনি দিতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ শাহআলম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সেফিউরক্সিম ইনজেক্শন দেওয়ার পরই ওইসব রোগী অসুস্থ হয়েছে। ঝাঁকুনি দিতে দিতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক এসে ওষুধ (কটসন) দিয়ে তাদের সুস্থ করে। 

তিনি জানান, হাসপাতালের সরবরাহকৃত ওষুধের মেয়াদ রয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তারপরও কেন এমনটা হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সমস্যা সৃষ্টিকারী ইনজেকশনের বোতল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।

ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও সহকারী রেজিস্ট্রার সুদীপ কুমার হালদার জানান, সেফিউরক্সিম ইনজেক্শন দেওয়া রোগীদেরই সমস্যা হয়েছে। যার সংখ্যা ১৮-১৯ জনের মতো।  আর একত্রে এতো রোগীর কাপুনি দেওয়া ও ঘাম দেয়ার লক্ষণ ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত।

তাৎক্ষণিক রোগীদের অন্য ওষুধের মাধ্যমে স্বাভাবিক করা হলেও একজন রোগী বমি করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ১৫ দিন আগেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিলো ৩ জন রোগীর ক্ষেত্রে। তবে সমস্যা আজকের মতো বড় আকার ধারণ করেনি। আজকের এ ঘটনার পরপরই হাসপাতাল পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তার নির্দেশে ওয়ার্ড তথা হাসপাতালে চলমান ব্যাচের সেফিউরক্সিম ইনজেকশন ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে।  পাশাপাশি নতুন ব্যাচ নাম্বারের সেফিউরক্সিম ইনজেকশন সরবরাহ করার প্রস্তুতিও চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ওয়ার্ডে ব্যবহৃত ওষুধের বোতল (ভায়েল) সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। যা টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। পাশাপাশি সমস্যা দেখা দেয়া একই ব্যাচের ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করে নতুন ব্যাচের ওষুধ সরবরাহ করতে বলা হয়েছে ওয়ার্ডে। 

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএস/এসএইচ


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান