
ঢাকা: নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিকের ‘অকূটনীতিক’ সুলভ আচরণ ও বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিটি দুই সপ্তাহের জন্য নেপাল গেছে।
সোমবার ৩ সদস্যের তদন্ত দলটি কাঠমান্ডু পৌঁছেছে বলে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ। তদন্ত কমিটির অপর দু’ সদস্য হলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (শৃঙ্খলা ও আইন) রাইসুল ইসলাম মণ্ডল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক সুব্রত রায় মৈত্রী।
নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে।
অন্য দেশের পতাকা নিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ, নারী কেলেঙ্কারি, ভিসা দিতে হয়রানি, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে ঘুষ, এমনকি নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর মতো অভিযোগ রয়েছে নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অণুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নিয়োগের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসে নেপাল থেকে। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরপর মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন উইং বিষয়টি তদন্ত করে। গত মে মাসে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ে।
রিপোর্টে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। কিন্তু দেশের অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের নেতৃত্ব এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতাদের তদবিরে তা চাপা দেওয়া হয়।
তদন্ত রিপোর্ট আমলে নিলেও পররাষ্টমন্ত্রী, সচিব কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ তা স্বীকার করতে রাজি হননি প্রায় দু মাস।
গত জুন ও জুলাই মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ১৯ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের তদন্ত হবে।’
তবে এরপরও কেটে গেছে প্রায় ৫ মাস।
নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আগের তদন্ত রিপোর্টে যা আছে:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অণুবিভাগের করা আগের চার পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টে নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ছিল: নারী কেলেঙ্কারি, স্কলারশিপ দিতে ঘুষ, অন্য দেশের পতাকা নিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ। এসব ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
দেড় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারে নেই বললেই চলে। এমনকি এ বছরের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধান অতিথি করে তাদের কোনও প্রতিনিধিকে পাঠাতেও ইতস্তত করে।
মাওবাদী প্রসঙ্গে কথা বলায় দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে নেপাল।
বলিউডের এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা মনীষা কৈরালার বাড়ির সামনে আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও প্রবেশ করতে না পেরে উল্টো দেন-দরবার করে দেশের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় বেশ ক’জন নারীকে দূতাবাসে নিয়মিত আদর আপ্যায়ন করিয়েছেন, তাদের সময় দিয়েছেন। একই সঙ্গে এতে তার যাবতীয় অকূটনীতিকসুলভ আচরণের সবিস্তার বর্ণনাও ছিল।
বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রদূত ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক সম্প্রতি নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে অফিসিয়াল প্যাডে মুজিবনগর দিবস/স্বাধীনতা দিবস/পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান স্পন্সর করার আবেদন জানান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়েই।
প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দাবি করা হয়- ১. ডায়মন্ড স্পন্সরশিপ (দুই লাখ টাকা), ২. গোল্ড স্পন্সরশিপ (এক লাখ টাকা) এবং ৩. এসোসিয়েট স্পন্সরশিপ (৫০ হাজার টাকা)।
দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়েই তিনি এভাবে ২০১০ সালে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। তিনি যেসব ইভেন্ট আয়োজন করেছেন তাতে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ নেপালি রুপির কিছু বেশি। অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে নগদ। কিন্তু সংগ্রহ ও তা খরচের খাতাটি অস্বচ্ছ। এ ঘটনাকে চাপা দেওয়ার জন্য তিনি ২ থেকে ৩টি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। এর একটি কপিও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।
নেপাল থেকে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য আসা ছাত্রছাত্রীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদি কোনও স্থানীয় শিক্ষার্থী সরাসরি আবেদনপত্র জমা দেয় তাহলে তাকে ভিসা দেওয়ার কাজটি বিলম্বিত করা হয়। তখন অন্যরা তাদের ঘুষ দেওয়ার কথা বলে। যারা শিক্ষা বিষয়ক কনসালটেন্সি করেন তাদের মাধ্যমে ওই ঘুষ দেওয়ার কথা বলা হয়।
২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নেপালি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ সরকার যে বৃত্তি দিয়েছে তাতে তারা এভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
নেপালের ভিআইপি’র আবেদন, এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনও তিনি অগ্রাহ্য করেছেন। পরিস্থিতি এক পর্যায়ে এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, ঢাকায় অবস্থানরত নেপালি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অভিযোগ আছে যে, নেপাল সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ৩৬ হাজার থেকে ৪০ হাজার ডলারের ৬টি বৃত্তি দেওয়ার প্রস্তাব করে । এগুলো দূতাবাসের ঘনিষ্ঠ শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শক সংস্থার মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এভাবে নেপালে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ড. ভৌমিক কাঠমান্ডুর প্রধান সড়ক রিং রোডে দুপুরে একটি সড়ক র্যালি করেন। এমন আয়োজন কোনও কূটনৈতিক সুবিধা এনে দেয় না। বিভিন্ন মিশনের প্রধানরা এবং ডিসিএমরা সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করেন। তারা দেখেন অগোছালো একটি আয়োজন। তারপর তারা শুরুতেই অথবা রাজপথ থেকে ফিরে যান।
ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ২০০৯ সালের শেষের দিকে এই দূতাবাসে যোগ দেন।
তারপর থেকেই তিনি কাঠমান্ডুতে নিয়োজিত ভারতীয় দূতাবাসের কাউন্সেলর/মুখপাত্র মিসেস অপূর্বা শ্রীবাস্তবকে উত্যক্ত করতে থাকেন। বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত তাকে মাঝে মধ্যেই দিনের বেলায় অফিসে ডেকে পাঠাতেন। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলতেন। এমনকি ড. নিমচন্দ্র তাকে বিরাটনগরে সফরে যেতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ বছর একবার তিনি শ্রীবাস্তবের বাসায় গিয়ে হাজির হন। তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন কোনও পূর্ব সিডিউল ছাড়াই। কিন্তু তাকে ফিরে যেতে বলা হয়।
বাংলাদেশি পাঁচ চিত্রশিল্পীর আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজন করা হয় পেইন্টিং এক্সিবিশন। সিদ্ধার্থ গ্যালারিতে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বলিউডের সুপরিচিত চলচ্চিত্র নায়িকা মনীষা কৈরালা। ওই প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান শেষে ওইদিনই রাত প্রায় ৯টায় কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ড. ভৌমিক গিয়ে হাজির হন মনীষার বাসভবনে। সেখানে তাকে গেটের বাইরে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। পাওয়ার জন্য। কিন্তু ওই বাসার গেট শেষ পর্যন্ত খোলেনি।
অভিযোগ আছে, তিনি মাঝেমধ্যেই অ্যাকাউন্টেন্ট হারুনুর রশিদের মোটর সাইকেলের পিছনে চড়ে বসতেন। কেউ জানে না তিনি কখন কোথায় যান। তবে একথা সবার জানা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাঠমান্ডুর নাচের ক্লাবে, রাতের অনুষ্ঠানে, স্থানীয় বারে যান। অনেক সময় তিনি বারে গিয়ে পুরো মাতাল অবস্থায় বাসায় ফিরেছেন।
আরও অভিযোগ আছে, ড. ভৌমিক নেপালি কয়েক জন কম বয়সী মেয়ে ও নারীর পিছু নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে যেসব নারী চিত্রশিল্পী তার আমন্ত্রণ রক্ষা করেছিলেন, পরে তারা আর বেশিক্ষণ তাকে সঙ্গ দেননি।
শুনা যায়, রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় এলাকায় মাঝেমধ্যেই স্থানীয় অনেক নারীকে দেখা যায়। তারা সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন।
২০১০ সালের মধ্য ডিসেম্বরে বাংলাদেশের চার যুবতীকে (ড্যান্সার) বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এক পর্যায়ে ফার্স্ট সেক্রেটারি মিসেস নাসরিন জাহান লিপিকে প্রত্যাহার করা হয়।
২০১০ সালের ১৭ই মার্চ মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠান হয় ইয়াক অ্যান্ড ইয়েতি মিটিং হোটেলে। সেখানে তিনি নেপালি আর্মি ব্যান্ডকে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজাতে বলেন। পরের দিন তিনি জেনারেল জ্যাকবের কাঠমান্ডুর কয়েকটি মিটিংয়ে ভারতীয় পতাকা ওড়ানো গাড়িতে করে যোগ দেন।
নিমচন্দ্র ভৌমিক এখনও নেপালের কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে পারেননি।
ভারতের রাষ্ট্রদূতকে যতটা সম্মান তিনি দেখান অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতদকে তিনি ততোটা দেখান না। এসব কারণে কূটনৈতিক মিশনের কাজ মাঝেমধ্যেই স্থবির হয়ে পড়ে। খুব কম ইভেন্ট সম্পর্কেই দেশের মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়।
এমনকি যখন উচ্চপর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন হয় তখন দেখা যায় প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে, যোগাড়যন্ত্র অপ্রতুল, বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগই করা হয়নি। সম্মান প্রদর্শনের সময় সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দেখা মেলে না।
অনেক বার তিনি কূটনৈতিক নিয়ম না মেনে দূতাবাসের নিম্নপদস্থ কয়েকজন কর্মচারীকে গেছেন নেপালের মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এ অবস্থায় তাকে বাদ দিয়ে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি বিভিন্ন জনসভায় যান। মাওবাদীদের ছাড়া কী করতে হবে- তিনি তা নিয়েও লোকজনকে পরামর্শ দেন।
মিশনের ওপর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এও হারুন রশিদের হাতে। তিনি রাষ্ট্রদূতের সামনেই এ ব্যাপারে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করেন। অন্য দু’জন কর্মকর্তাকে উপেক্ষা করে তিনি মিশনের বিভিন্ন বিষয়ে কর্তৃত্ব ফলান। হারুন রশিদ প্রকাশ্যে পণ্য কেনা, বাড়ি ভাড়া, গাড়ি মেরামত, হোটেল বিলসহ বিভিন্ন খাত থেকে কমিশন নেন। বেশির ভাগ কেনাকাটাই ভুয়া বিল ধরে বেশি দরে কেনা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রমের প্রতিও ড. ভৌমিক চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগত কাজে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই ৩০ বারের বেশি ঢাকা সফর করেছেন। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাকে বলা হলে তিনি উল্টো মন্ত্রণালয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ২০০৯ সালে নেপালে চুক্তিভিত্তিক রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ পান।
নিমচন্দ্র অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী ‘নীল দল’ ফোরামের একজন বিশিষ্ট নেতা। তিনি আবার কয়েকটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনেরও পরিচিত ও অপরিহার্য মুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১১