প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের কবিতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৫:০৭, এপ্রিল ১১, ২০১৮
সুরের ধারার রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শ্রুতি গীতবিতান’ প্রদান করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছবি: পিআইডি

সুরের ধারার রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শ্রুতি গীতবিতান’ প্রদান করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুপ্রভাত’ কবিতার বিখ্যাত দু’টি চরণ আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘সুরের ধারা’র পঁচিশ বছরপূর্তি উপলক্ষে বুধবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধানমন্ত্রী আবৃত্তি করেন:

উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই —
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
প্রধানমন্ত্রী চার দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন। আগামী ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ‘সুরের ধারা’র রজতজয়ন্তী উৎসব।

দেশবরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ১৯৯২ সালের ১৪ এপ্রিল সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’ চালু করেন। আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিনে প্রতিষ্ঠানটির ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের জীবনে এবং পারিবারিক জীবনে রবীন্দ্রসাহিত্যচর্চার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। যখন দেখা দিতো কোনো একটা বৈরী পরিবেশ, তখন আমার বাবা আবৃত্তি করতেন: 

''যদি তোর       ডাক শুনে কেউ না আসে       তবে       একলা চলো রে।
একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো রে॥''

প্রধানমন্ত্রী বলেন, '‘আবার যখনই কোন বাধা-বিঘ্ন এসেছে, আপনারা জানেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) তার জীবনটাকে পুরোপুরি বাংলাদেশের জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন; তাই তার মুখে শুনতাম:

'' উদয়ের পথে শুনি কার বাণী , 
                       ‘ ভয় নাই , ওরে ভয় নাই — 
                  নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান 
                      ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। '' 

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ''আমাদের পরিবার রাজনীতি যেমন করেছে, সেইসঙ্গে সাহিত্যচর্চা, বই পড়া, সংগীতচর্চা ইত্যাদি বিষয়গুলোর সঙ্গেও আমরা সবসময় ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলাম। মা-বাবার কাছ থেকেই এটা আমরা পেয়েছি। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, একটি দেশকে, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে যদি উন্নত করতে হয়, তাহলে কেবল অর্থনৈতিক মুক্তি নয়, সাংস্কৃতিক মুক্তিও একান্তভাবে প্রয়োজন।'' 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''বাংলাদেশটা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যায়। এই বাংলাদেশে যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা স্থান না পায়। আমরা আমাদের আদর্শ, লক্ষ্য, যে নীতিতে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশকে যেন গড়ে তুলতে পারি।''

তিনি বলেন, ''জাতির পিতার লক্ষ্য ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। সে বাংলাদেশ যেন গড়ে তুলতে পারি।''

শেখ হাসিনা বলেন, ''লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাকে কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।'' 

সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''সুরের ধারার সবচেয়ে বড় যে কাজটি আমরা দেখেছি, তারা সমাজের একদম অবহেলিত যে শিশু, তাদের সংস্কৃতি শেখানো, গান শেখানো বা মূলধারায় নিয়ে আসার কাজটি করে থাকে। এজন্য বন্যাকে (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।''

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮ 
এমইউএম/এইচএ/জেএম


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান