নেপাল ভেঙ্গে তরাইকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১১:১৫, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
আয়তক্ষেত্রে চিহ্নিত তরাই অঞ্চল।

আয়তক্ষেত্রে চিহ্নিত তরাই অঞ্চল।

ঢাকা: নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় তরাই এলাকাকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি নেপাল (আরজেপিএন)। হিমালয়কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশটিতে আগামী ২৬ নভেম্বর ও ৭ ডিসেম্বর দু’দফায় অনুষ্ঠেয় ফেডারেল ও প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রথম দফার মাত্র তিন দিন আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এই ইশতেহার প্রকাশ করা হলো।

ইশতেহারের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নভূমিতে বসবাসকারী মাদেশি, থারু, দলিত, মুসলিম ও আদিবাসীর মতো জনগোষ্ঠীগুলো সবাই নেপালী। কিন্তু আরো বৃহত্তর প্রেক্ষিত থেকে দেখলে, তারা এসেছে ভিন্ন জাতি থেকে। তাদের ভূগোল, জীবনাচার, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও দর্শন আলাদা। নেপালের চেয়ে তাদের বরং ভারত ও মরিশাসসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গেই বেশী মিল।

কিন্তু হিমালয় পাদদেশে তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সঙ্কশ ইত্যাদি নদীর বয়ে আনা বালি, নুড়ি ও পাথরে গড়ে ওঠা তরাইকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব তোলার জন্য দলটির ভেতরেই উঠেছে প্রবল সমালোচনার ঝড়। দলীয় ফোরামে আলোচনা না করে ইশতেহার প্রকাশ ও তরাই অঞ্চলকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব দেওয়ায় দলটির সমন্বয়ক মহন্ত ঠাকুরকে তুলোধুনো করছেন বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

নির্বাচনী ইশতেহারে তরাইকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব। সাধারণ সম্পাদক মনিশ সুমন ও কেশব ঝা বলেন, যখন আমরা সমন্বিত জাতি হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরো শক্ত করতে চাইছি, তখন দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তরাইকে পৃথক রাষ্ট্র করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা রাষ্ট্র ভাগের বিপক্ষে।

তারা বলেন, এ প্রস্তাব কারো ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে, কিছুতেই দলীয় নয়। আমরা একটি পৃথক রাষ্ট্রের কথা কল্পনাই করতে পারি না। আমরা ঝাঁপা থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত তরাই জেলাগুলোকে নিয়ে একটি অবিভক্ত প্রদেশ চাই, পৃথক রাষ্ট্র নয়।
 
তরাই এর অবস্থান হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণ থেকে গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে। অঞ্চলটি নেপাল ছাড়াও পশ্চিমে যমুনা নদী ধরে ভারতের হিমাচল, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড প্রদেশ থেকে পূর্বে উত্তর প্রদেশ ও বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। পূর্বের ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় পশ্চিমবঙ্গ, ভুটান ও আসামে এ অঞ্চলের কিয়দংশ ডুয়ার্স নামে পরিচিত। আরজেপিএন-এর প্রস্তাব তাই কেবল নেপাল নয়, ভারতের জন্যও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
জেডএম/


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান