
ঢাকা: নব্য জেএমবি সংগঠনের বর্তমান আমির শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ ওরফে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে সাংগঠনিক বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দেশের ভেতরে জঙ্গি হামলা সংঘটিত করার বেশকিছু পরিকল্পনা এবং বিগত হামলায় অর্থদাতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে এসব নথিপত্রে। এছাড়াও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায় বাংলাদেশের মধ্যে একটি ‘সেফ জোন’ তৈরির পরিল্পনাও পাওয়া গেছে।
এসব নথিপত্রে রয়েছে বেশকিছু চিঠি। যা সংগঠনের আমির থেকে সূরা সদস্যসহ অর্থদাতাদের মধে আদান-প্রদান হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, এগুলোর মধ্যে একটি চিঠি ছিলো নব্য জেএমবি’র টাকার বণ্টন সংক্রান্ত। চিঠিটির কোড ছিলো ‘ফজলি আম’। নব্য জেএমবিতে ডা. রোকন প্রায় ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
এছাড়াও রূপনগরে নিহত জঙ্গি মেজর জাহিদ (মেজর মুরাদ) সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর রিটায়ারমেন্টের টাকা এবং আজিমপুরে নিহত তানভীর কাদেরী উত্তরার ফ্ল্যাট বিক্রি করে টাকা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ড. রোকন স্বপরিবারে সিরিয়া চলে গেলেও দেশে তার রক্ষিত অর্থ জঙ্গি নয়ন ও হাসানের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে খরচ করতেন। তার ‘ফজলি আম’ চিঠিটি নয়ন ও হাসানের মাধ্যমে আব্দুর রহমানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে ৭০ লাখ টাকা কোথায় খরচ করা হবে সেই নির্দেশনা ছিলো। চিঠিতে অস্ত্র ও বোমা কেনার বাজেটও ছিলো। পুলিশের হাতে নিহত এক জঙ্গির বোনকে এক লাখ ২০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রমাণ রয়েছে।
তিনি বলেন, এসব তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল ও মহাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হুন্ডি ব্যবসায়ী হাসিবুল হাসান (৪৮) এবং রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলী নাফিস আহমেদ নয়নকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জঙ্গিবাদের জন্য রক্ষিত নগদ ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব ডিজি বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা এই চিঠির সত্যতা এবং বর্ণিত ওই চিঠিতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
র্যাব ডিজি বলেন, নয়ন এই নব্য জেএমবি’র কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেন এবং আরও পাঁচ লাখ টাকা দেবেন বলে আশ্বস্ত করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
এসজেএ/এসএনএস