
ছবি: সুমন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষের সামনে এলো জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনা ও মিঠু! না, কার্টুন জীবন্ত হয়ে বের হয়ে আসেনি, মীনা ও মিঠুর কণ্ঠ দেওয়া আসল মীনা ও মিঠুকে দেখা গেলো সরাসরি।
‘মীনা দিবস’ উপলক্ষে শনিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফরের অডিটরিয়ামে হাজির হয়ে এই দু’জন বিশেষ চমক দেন উপস্থিত শিশু-কিশোদের।
এরপর মীনা কার্টুনের একটি পর্বে সরাসরি দর্শকের সামনে কণ্ঠ মেলান মীনা-ফারজানা ও মিঠু- কামাল।
মীনা কাটুর্নের পর্দার আড়ালে থাকা মীনার আসল নাম ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, মীনা কাটুর্নের কণ্ঠ দিতে পেরে অামি গর্ববোধ করছি।
ফারজানা জানান, জন্মসূত্রে কুমিল্লার বড়ুরা থানার একবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন এসএসসি ও এইচএসসি। এরপর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেই মীনা কাটুর্নের কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন।
একটি বেসরকারি রেডিওতে আরজে হিসেবে কর্মরত ফারজানার ভবিষৎ পরিকল্পনা সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া।
মীনা কাটুর্নের জনপ্রিয় চরিত্র মিঠুর আসল নাম কামাল আহসান বিপুল। অভিনয় ও পাপেট করা তার পেশা। রাজশাহীর সাগর পাড়া গ্রামের মো. কামাল উদ্দিন ও জয়নাব বেগমের ছেলে তিনি। বাবা-মা দু’জনেই সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় ঢাকায় বড় হয়েছেন তিনি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৯৪ সাল থেকে মীনা কাটুর্ন শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে এ কাটুনে ভারতের লোকেরা কণ্ঠ দিতেন। এরপর কানাডার উদ্যোক্তা রামমোহন আমাদের ভয়েস নিয়ে সিলেকশন করেন।
আহসান বিপুল বলেন, মিনা কাটুর্নে কণ্ঠ দিয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। এরকম আরও কাজ হওয়া উচিত।
এদিকে অনুষ্ঠানে আসা শিশুরা টেলিভিশনে মটু-পাগলু, ডোরেমন নয়, সকাল-বিকেল দিনে দু’বার মীনা কার্র্টুন দেখানোর দাবি জানায়।
আগারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলে, আমি মীনা কার্টুন দেখতে পছন্দ করি। এ কার্টুনে পড়াশোনা, খেলাধুলা, নিজের কাজ, মুরব্বিদের সম্মান দেওয়া ও বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজে সহযোগিতার বিষয়গুলো সুন্দর করে দেখানো হয়। মীনা কার্টুন দেখে আমারও ইচ্ছা মীনার মতো হওয়ার। কিন্তু মীনা কার্টুন প্রতিদিন টিভিতে দেখায় না।
চারবোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এ মেয়েটির ইচ্ছা বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হবে।
মতিঝিল প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ের চতুর্র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মরজিনা আক্তার বলে, কার্টুনের মীনা আমাদের আদর্শ। আমাদের দেশের প্রতিটি পরিবারে একটি করে মীনা গড়ে তুলবে হবে। এ কার্টুনে শিক্ষা, মেধা ও সংস্কৃতির দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
শুধু সাবিনা ইয়াসমিন ও মরজিনা আক্তার নয়, মারিয়া, সবিতা, মেহেদী, রোকনসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরও একই দাবি।
মীনা কার্টুনের প্রধান মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, মীনা কাটুর্ন বেশি করে টিভিতে দেখানো দরকার। এক্ষেত্রে বিটিভির পাশাপাশি বেসরকারি টিভিগুলোর সম্প্রচার বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৬
এমএফআই/এএ