চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’নেতার স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রত্ব স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অপর দুই ছাত্রলীগ নেতার কর্মকা- দু’মাস পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া ছাত্ররা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন শুভ ও সুব্রত দে। পর্যবেক্ষণে রাখা দু’জন হলেন- আহ্বায়ক কমল কান্তি মজুমদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হাসান লাভলু।
উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে একাডেমিক কাউন্সিল শনিবার রাতে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান।
অভিযুক্ত অপর চার সাধারণ শিক্ষার্থী অমিত কুমার দাস, সবুজ কান্তি নাথ, দীপন কুমার ভৌমিক ও নাহিদ সুলতানকে ক্ষমা করে তাদের শাস্তি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে, ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মমিনকে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৮ আগস্ট ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমল কান্তি মজুমদার এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, আবু হাসান লাভলু, শাহাদাৎ হোসেন ও সুব্রত দেকে যাবজ্জীবন বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অমিত কুমার দাশ ও সবুজ কান্তি দাশকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নাহিদ সুলতান ও দীপন কুমার ভৌমিক নামে আরও দুই শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড.নীতিশ চন্দ্র দেবনাথের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করার কারণে এদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। নতুন উপাচার্য ড. এএস মাহাফুজুল বারি নিয়োগ পাওয়ার পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিল শাস্তির দেওয়ার সিদ্ধান্ত ওই বছরের ৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত করে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে থেকে ছাত্রলীগের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় এক বছর অচল ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১